খরচ সামাল দেওয়ার টোটকা। ছবি- প্রতীকী
বেড়ে চলা বাজারদর এবং নিত্যদিনের খরচ সামলাতে ছোট পরিবারে দু’জনের রোজগারেও হিমশিম খেতে হয়। তার মধ্যে সন্তানের বায়না, লোক-লৌকিকতা মেটানোর পর ভবিষ্যতের চিন্তা আর নিজেদের শখ বলতে আর বিশেষ কিছু থাকে না। কিন্তু বেশির ভাগ পরিবারের হাল যে হেতু মহিলাদের কাঁধে থাকে, তাই মাসের শেষে হাতে টান পড়লে ঘুরেফিরে বাড়ির অর্থমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে হয় বেশির ভাগ পুরুষকে। আগে যেমন নিজেদের হাতখরচ বাঁচিয়ে ঠাকুরমা-দিদিমারা শাড়ির আঁচলে বা ভাঁজে গচ্ছিত রাখতেন টাকা। প্রয়োজনে, বিপদ-আপদে চাইলেই পাওয়া যেত, এখন তো তেমন সুযোগ নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও সবটা করতে হবে মহিলাদেরই।
কোন কোন বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি?
১) মাসের খরচের হিসাব
মাস শুরু হওয়ার আগেই সম্ভাব্য খরচের একটা হিসাব ছকে ফেলুন। সম্ভব হলে প্রতিদিনের খরচ লিখে রাখুন। মাসের শেষে মিলিয়ে দেখুন ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী সব খরচ হল, না কি তা ছাড়িয়ে গেল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অভ্যাস কিন্তু মোট খরচের থেকে ১৫ শতাংশ বাঁচিয়ে দিতে পারে।
২) আলাদা খরচের জন্য আলাদা অ্যাকাউন্ট
কোন খাতে কত খরচ হবে, তা হিসাব করে এক জায়গায় নয়, আলাদা করে রাখুন। এক জায়গা রেখে দিলে খরচের সময়ে খেয়াল না-ও থাকতে পারে। যখনই হাতে একটু বেশি টাকা আসবে, প্রতিটি খাতে সমান ভাবে ভাগ করে রাখতে পারেন। সেখান থেকে খরচ হয়ে গেলে সময় মতো তা পূরণ করে ফেলতে হবে।
৩) জমানোর চেয়ে লগ্নি করা ভাল
অনেকেই মনে করেন, খরচ না করে বিছানার তলায় থরে থরে টাকা জমিয়ে রাখলেই বোধ হয় লক্ষ্যপূরণ হবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা জমানের চেয়ে কোনও প্রকল্পে লগ্নি করা ভাল। এই অভ্যাসে টাকার বাজারদর এবং চাহিদা সবটাই বুঝতে পারবেন।
৪) জরুরিকালীন ব্যবস্থা
বিপদ তো আগে থেকে জানিয়ে আসে না। বাড়িতে বয়স্ক বা বাচ্চা থাকলে এমন কোনও পরিস্থিতি হতেই পারে। তাই আগে থেকে সেই বাবদ খরচের আলাদা একটি অ্যাকাউন্ট রাখতে পারেন।
৫) ভবিষ্যতের সঞ্চয়
সরকারি চাকরিতেও এখন অবসর ভাতার সুবিধা পাওয়া যায় না। বেসরকারি হলে তো কথাই নেই। তাই যত কম বয়স থেকে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করে ফেলতে পারবেন, তত ভাল। পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া থেকে শুরু করে বুড়ো বয়সে বিশ্ব ভ্রমণ, সবটাই ভেবে রাখা ভাল।