বিয়ের আগে বিয়ের টাকা শেষ। প্রতীকী ছবি।
স্নাতক স্তরের পরীক্ষায় পাশ করার পর উচ্চ শিক্ষার জন্য বাবা-মা কোনও টাকা দেননি। তাই বিয়ের জন্য গচ্ছিত অর্থ অন্য ভাবে খরচ করলেন হবু কনে। গোটা ঘটনাটি নিজেই সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন তরুণী। সকলেই তরুণীর সিদ্ধান্ত এবং ভাবনাকে সম্মান জানিয়েছেন।
তরুণী জানিয়েছেন, তাঁর দু’জন দাদা আছেন। দাদারা স্নাতক স্তরের পরীক্ষায় পাশ করার পর দু’জনকেই ৪০ লক্ষ টাকার চেক দিয়েছেন বাবা-মা। কিন্তু তিনি ওই পরীক্ষায় পাশ করার পর বাবা-মা তাঁকে কোনও টাকা দেননি। নিজের প্রাপ্য টাকার দাবি জানালেও তাঁকে বলা হয়েছিল, বিয়ের পর স্বামী সব শখ-আহ্লাদ মেটাবেন। দাদারা টাকা পেলেও, তাঁর ক্ষেত্রে এমন অবিচার মানতে পারছিলেন না তিনি। তবে অভিমান এবং রাগ মনেই পুষে রেখেছিলেন। পড়াশোনা শেষ করার পর তাঁর আলাপ হয় এক বন্ধুর সঙ্গে। তার পর তাঁদের প্রেম। শেষে তাঁকেই বিয়ের করার জন্য মনস্থ করেন।
বাড়িতে সম্পর্কের কথা জানাতেই আহ্লাদিত হয়ে ওঠেন বাবা-মা। খুশি হয়ে মেয়েকে বিয়ের জন্য ৪০ লক্ষ টাকার চেক দেন। তার পর থেকেই পুরনো অভিমান মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তাঁর। বিয়ের জন্য টাকা দিতে পারলেও মেয়ের শখ-আহ্লাদের কোনও দাম নেই!
প্রথমে ভেবেছিলেন টাকা ফিরিয়ে দেবেন। কিন্তু পরে অন্য পরিকল্পনা করেন। সেই ভাবনায় পাশে পেয়েছিলেন হবু স্বামীকে। বাবা-মায়ের দেওয়া টাকা এবং হবু জীবনসঙ্গীর সঞ্চয় এক সঙ্গে করে একটি ফ্ল্যাট কেনেন দু’জনে। গোটাটাই গোপনে রেখেছিলেন তাঁরা। তবে শেষ পর্যন্ত অবশ্য পুরোটা জানিয়ে দেন সবার কাছে।