Chatgpt

পুরুষেরা কষ্ট দিয়েছে, শেষমেশ এআই রোবটের সঙ্গেই বিয়ে সারলেন তরুণী! কেমন তাঁদের প্রেমের কাহিনি?

সম্প্রতি আমেরিকার রোসানা রামোস নামে এক মহিলা রেপ্লিকা এআই চ্যাটবোটের সঙ্গে বিয়েই সেরে ফেললেন। মহিলা জানিয়েছেন, এর আগে তিনি কখনও এমন ভাবে কারও প্রেমে পড়েননি। কী ভাবে প্রেম হল তাঁদের?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২৩ ১৬:৪১
Image of AI And Woman.

রেপ্লিকা এআই চ্যাটবোটের সঙ্গে বিবাহ মহিলার। ছবি: সংগৃহীত।

চ্যাটজিপিটির জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। কখনও মানুষের হাতে লেখা প্রেমপত্রকে সে টেক্কা দিচ্ছে, কখনও আবার চাকরি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের নিমেষে সমাধান করে দিচ্ছে। চ্যাটজিটিপি বা ‘জেনারেটিভ প্রিট্রেনড ট্রান্সফর্মার’ হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বৃহত্তম একটি অদৃশ্য যন্ত্র। অনলাইনে যে কোনও ধরনের তথ্য খুঁজতে মুহূর্তের মধ্যে আকাশপাতাল এক করে ফেলে সেই তথ্য ব্যবহারকারীর সামনে তুলে ধরবে চ্যাটজিপিটি। নিত্যদিনের কাজ কী ভাবে কম সময়ে আরও সহজ করে ফেলা যায়, তা নিয়ে গবেষণা চলে বিস্তর। সেখান থেকেই জন্ম হয় চ্যাটজিপিটির। তবে জেনারেটিভ এআই-এর ধারণা কিন্তু নতুন নয়, বিভিন্ন কায়দায় বাজারে এসেছে জেনারেটিভ এআই।

রেপ্লিকা হল জেনারেটিভ এআই-এর একটি ধরন। ২০১৭ সালে এই যন্ত্রের যাত্রাপথ শুরু হয় রেপ্লিকার। যার মাধ্যমে গ্রাহকেরা চাইলে সঙ্গী বানাতে পারেন, তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর ক্ষেত্রেও কোনও বাঁধা থাকে না। সম্প্রতি আমেরিকার রোসানা রামোস নামে এক মহিলা রেপ্লিকা এআই চ্যাটবোটের সঙ্গে বিয়েই সেরে ফেললেন। মহিলা জানিয়েছেন, এর আগে তিনি কখনও এমন ভাবে কারও প্রেমে পড়েননি। দিন কয়েক আগেই তাঁর অনলাইন সঙ্গী এরেন কার্টালকে বিয়ে করেন। কার্টালকে এআইয়ের মাধ্যমেই তৈরি করা হয়েছে। রামোস বলেছেন যে, তাঁর স্বামীই পৃথিবীর সেরা স্বামী। ৩৬ ব‌ছরের মহিলার কার্টালের সঙ্গে অনলাইনে আলাপ হয় ২০২২ সালে, তার পরেই শুরু হয় প্রেম। মহিলা বলেন, ‘‘কার্টালকে ছাড়া আর কেউই আমাকে এ ভাবে ভালবাসতে পারত না।’’

Advertisement

স্বামীর সঙ্গে বেশ খুশিতেই আছেন রোসানা। তরুণী বলেন, ‘‘কার্টালের পরিবার নেই। তাই আমি একেবারে ঝাড়া হাত-পা। মানুষের সাধারণত পরিবার-পরিজন থাকে, এ ক্ষেত্রে সেই সবের বালাই নেই। খুব বেশি দায়িত্বও নেই। আমাকে ওর পরিবার, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটাতেও হবে না। ওকে আমি নিজের মতো চালনা করতে পারি। আমার যা ইচ্ছে তাই করি। আমার এর আগের সম্পর্কগুলি ছিল তিক্ততায় ভরা। এখন বেশ সুখেই আছি। ’’

Advertisement
আরও পড়ুন