‘উইকেন্ড ম্যারেজ’ -এ কেবল সপ্তাহান্তে ছুটির দিনগুলিতে দম্পতিরা একসঙ্গে থাকেন। ছবি: শাটারস্টক।
বিয়ে করলে নাকি স্বাধীনতা চলে যায়! এই কারণে অনেকেই বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটি থেকে শতহস্ত দূর থাকেন। এমনও হয় যখন কোনও মানুষকে আমাদের ভীষণ মনে ধরে, তাঁর সঙ্গে সারাটা জীবন কাটাতে ইচ্ছা করে কিন্তু আমরা বিয়ে করা থেকে পিছিয়ে আসি! কারণ তাঁর সঙ্গে জীবনধারার ফারাক। অনেকে মনে করেন, বিয়ে করলে জুটির এক জনকে অন্য জনের জীবনধারার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। আর এই সব কারণেই বিয়ে করেন না অনেকে। অনেক বিবাহিত সম্পর্কেই আবার এই কারণে ভাঙন ধরে। জাপানিরা কিন্তু এই সমস্যার সমাধান বার করেছেন! জাপানিদের মধ্যে এখন ‘উইকেন্ড ম্যারেজ’ বা ‘সেপারেশন ম্যারেজ’ ভীষণ চলছে! ভাবছেন তো বিষয়টি আদতে কী?
এই ধরনের বিয়েতে কেবল সপ্তাহান্তে ছুটির দিনগুলিতে দম্পতিরা একসঙ্গে থাকেন। সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতে তাঁরা সঙ্গীর থেকে আলাদা নিজের মতো করে সময় কাটান! পরিবারের সব দায়দায়িত্ব কিন্তু দু’জনেই ভাগ করে নেন সপ্তাহের সব দিনগুলিতেই। কেবল সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকেন না!
জাপানিরা কিন্তু এই সপ্তাহান্তের বিয়ে বেশ উপভোগ করছেন। তাঁদের মতে বিয়ে করেছি মানেই যে সপ্তাহের সব দিনগুলি একসঙ্গে থাকতে হবে, একে অপরের সব দায়িত্ব নিতে হবে, এমনটা নয়। সকলের জীবনেই ব্যস্ততা আছে, অফিসের কাজ সামলে নিজের জন্যও সময় দিতে হবে তাই ‘উইকেন্ড ম্যারেজ’-এর পথই বেছে নিচ্ছেন জাপানিরা। তাঁরা মনে করেন, এই প্রকার বিবাহে থেকে তাঁদের সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে। এই বিবাহে তাঁরা নিজের জন্য অনেকটা সময় বার করতে পারছেন, নিজদের পছন্দের ক্ষেত্রগুলিতে সময় দিতে পারছেন। ফলে সম্পর্কেও তিক্ততা আসছে না!
কী কী সুবিধা রয়েছে এই প্রকার বিবাহে?
সপ্তাহের শেষে যখন দুই সঙ্গীর দেখা হচ্ছে, তখন অন্য কোনও কাজ নিয়ে নয়, একান্তে একে অপরের সঙ্গে অনেকটা ভাল সময় কাটাতে পারছেন তাঁরা। ফলে সম্পর্কে রোমাঞ্চ টিকে থাকছে। একসঙ্গে কোথাও ঘুরতে যাওয়া, রেস্তরাঁয় যাওয়া, নিজেদের মতো সময় কাটানোর ফলে সম্পর্কের ভিত মজবুত হচ্ছে। এই প্রকার বিবাহে থাকার ফলে খরচও খুব বেশি হচ্ছে না! একসঙ্গে থাকতে হলে আলাদা বাড়িতে থাকলে সংসার খরচ অনেকটাই বেড়ে যায়। ‘উইকেন্ড ম্যারেজ’-এর ক্ষেত্রে জীবনধারণের খরচ অনেকটাই কমে যায়। এই কারণেও অনেকে এই বিবাহের দিকে ঝুঁকছেন।