Tamannaah Bhatia

সম্পর্কের ‘বিপদ সঙ্কেত’ কোনগুলি? কী কী দেখলে বুঝবেন ‘প্রেম’ আদতে প্রেম নয়? জানালেন তমান্না

প্রেমের পাঠ পড়ালেন তমান্না ভটিয়া। কী দেখলে বুঝতে হবে প্রেমে জল আছে, শিখিয়ে দিলেন অভিনেত্রী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২
তমান্না ভাটিয়া।

তমান্না ভাটিয়া। —ফাইল চিত্র।

সম্পর্ক জটিল। আরও জটিল অচেনা এক জন মানুষকে বিশ্বাস করে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত। পরিণতি কী হবে, তা না জেনে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ নয়। কারণ পরিণতি খারাপ হলে আফসোসের সীমা থাকে না। অভিনেত্রী তমান্না ভাটিয়া অবশ্য বলছেন, একটু সতর্ক হলে সম্পর্কের শুরুতেই বোঝা যাবে ‘প্রেম’ সত্যিকারের প্রেম কি না। তমান্না জানিয়েছেন, দু’টি ব্যর্থ প্রেম থেকে ঠেকে ওই শিক্ষা পেয়েছেন তিনি।

Advertisement

সম্প্রতি একটি পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তমান্না বলেছেন, ‘‘যে কোনও সম্পর্কে মিথ্যে কথা হল সবচেয়ে বড় বিপদ সঙ্কেত। কেউ যদি ছোটখাটো বিষয় নিয়েও মিথ্যে বলেন, তবে সেটাকে ছোটখাটো মিথ্যে ভেবে অগ্রাহ্য করা সবচেয়ে বড় ভুল। মিথ্যে, তা যত ছোটই হোক না কেন, প্রমাণ করে দেয়, মানুষটি আর যাই হোন, সৎ নন।’’ তমান্নার পরামর্শ, এই ধরনের অসততা দেখলে অবিলম্বে সরে আসুন।

সম্পর্ক যাচাই করার জন্য তমান্নার দেওয়া পরামর্শ যে ঠিক, তা মানছেন মনোবিদ সোনাল খাঙ্গারোটও। তিনি আবার বলছেন, সম্পর্কের শুরুর দিকের আরও কিছু সঙ্কেত জেনে রাখা দরকার। যাতে ‘প্রেম’ ভেবে ফাঁদে পা না পড়ে। সোনাল বলছেন, ‘‘সম্পর্কের শুরুতে আমাদের চোখে থাকে স্বপ্নের রং। আমরা একসঙ্গে ঘর বাঁধার কথা ভাবি। তখন অনেক ছোটখাটো বিপদ সঙ্কেতকেই আমরা পাত্তা দিই না। কিন্তু আবেগে ভেসে না গিয়ে সতর্ক হওয়া দরকার সেই সময়েই।’’ কী কী বিষয়ে সতর্ক হতে হবে?

১। আসক্তিকে প্রেম ভাবা: সোনাল বলছেন, আসক্তি সব সময়েই ব্যক্তিগত চাহিদা থেকে আসে। কিন্তু প্রেমে সবসময়েই থাকবে পারষ্পরিক সম্মান, ঘনিষ্ঠতা এবং অঙ্গীকার। নতুন সম্পর্কের শুরুতে বার বার পরীক্ষা করুন, আপনাদের দু’জনের মধ্যে যা আছে, তা কি আসক্তি? না কি প্রেম?

২। যত্ন না নিয়ন্ত্রণ: আপনি কি পোশাক পরছেন, কার সঙ্গে কথা বলছেন, তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা কখনওই আপনার প্রতি যত্নের নমুনা হতে পারে না। নিয়ন্ত্রণ বুঝলে সতর্ক হোন। কারণ, ভবিষ্যতে ওই নিয়ন্ত্রণই মানসিক হেনস্থার পর্যায় যেতে পারে।

৩। ঘনিষ্ঠতায় তাড়াহুড়ো: মানসিক এবং শারীরিক ঘনিষ্ঠতা দু’পক্ষের পারষ্পরিক ইচ্ছা থেকে আসা উচিত। দু’পক্ষই যেন সেই পর্যায়ে পৌঁছনোর ব্যাপারে স্বচ্ছন্দ হন। সঙ্গী যদি সম্পর্ককে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর করেন, তবে বুঝতে হবে বিপদ আছে।

৪। আলাদা করে দেওয়া: সঙ্গী সামান্য ভুলেই রাগ প্রকাশ করছেন! বা আপনার প্রিয়জনদের সঙ্গে দূরত্বের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছেন? তবে অবিলম্বে ওই সম্পর্ক থেকে বেরোন।

৫। ধারাবাহিকতার অভাব: এই ভাল এই মন্দ বা এই প্রেম এই রাগ। অথবা হয়তো আপনাকে এড়িয়েই চললেন সঙ্গী। তা হলে গণ্ডগোল। সাবধান হোন।

৬। আবেগের ঘনঘটা: সম্পর্কের শুরুতে অতিরিক্ত আবেগ বা অতিরিক্ত মনোযোগের নেপথ্য কারণ হতে পারে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। তেমন হলে সতর্ক হোন।

আরও পড়ুন
Advertisement