বিবাহিত সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে হলে, দু’জনকেই সমান দায়িত্ব নিতে হবে। ছবি: শাটারস্টক।
কেউই বিচ্ছেদের কথা ভেবে বিয়ে করেন না। সম্পর্ক যাতে সুন্দর হয়, সে চেষ্টাই নিজের মতো করে করেন অধিকাংশে। তবু হাজার চেষ্টার পরেও অনেক সম্পর্কই সুখের হয় না। তখন নিজেদের পথ আলাদা করেও নিতে হয়। বিবাহিত সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে হলে, দু’জনকেই সমান দায়িত্ব নিতে হবে। যুগল ভেদে সম্পর্কের সমীকরণ আলাদা হয়। আমেরিকার মনোবিজ্ঞানী জন গটম্যান দম্পতিদের মধ্যে আলাপচারিতা ও ব্যবহারের উপর নির্ভর করে বিবাহকে পাঁচ ভাগে ভাগ করেছেন। আপনার বৈবাহিক সম্পর্কটি কেমন, দেখে নেবেন না কি?
বোঝাপড়ায় বিশ্বাসী যাঁরা: এই ধরনের বিবাহে দম্পতিদের মধ্যে বোঝাপড়া ভাল হয়। তাঁরা একে অপরের সঙ্গে শান্ত ভাবে আলাপচারিতায় বিশ্বাসী। ঝামেলা, অশান্তি হলেও তাঁরা কোনও হটকারী সিদ্ধান্ত নিতে নারাজ। ঝগড়া হলে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলেই তা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
আবেগকেই গুরুত্ব দেন: এই ধরনের দম্পতিরা খুব বেশি আবেগপ্রবণ হন। অত্যন্ত সংবেদনশীল মনোভাবের কারণে কখনও সম্পর্কে বড় কোনও বড় অশান্তি হলে দু’জনের কেউই তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না। ফলে অশান্তি আরও বাড়ে। আপনি ও আপনার সঙ্গীও নরম মনের মানুষ হলে একে অপরকে তিক্ত কথা বলার থেকে বিরত থাকুন।
বিবাদ এড়িয়ে চলেন: এই ধরনের দম্পতিরা একে অপরের সঙ্গে কোনও রকম বিবাদে জড়াতে চান না। কোনও বিষয়ে যদি দু’জনের মধ্যে চরম অমিল দেখা যায়, তা হলে দু’জনেই ইতিবাচক দিকটির উপর বেশি নজর দেন। ফলে সমস্যা এড়ানো সহজ হয়। তাঁরা একে অপরের সঙ্গে যে বিষয় মিল, তা-ই নিয়ে কথা বলতেই পছন্দ করেন। অমিলটা দেখেও দেখেন না।
নিজের কথাকেই গুরুত্ব দেন: এই দম্পতিরা একে অপরের সঙ্গে কোনও আলোচনায় নিজের মতটাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য রক্ষণাত্মক হয়ে ওঠেন। কোনও সমস্যা হলেই একে অপরকে দোষারোপ করতে ব্যস্ত থাকেন এঁরা। একে অপরকে বোঝার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা প্রকাশ করেন না বলেই এদের মধ্যে বিবাদও বাড়তে থাকে।
অল্পতেই ঝগড়া হয় যাঁদের: এই ধরনের দম্পতিদের মধ্যে সব বিষয় নিয়ে বিবাদ লেগে থাকে। তাঁদের উদ্দেশ্যহীন ঝগড়া কখনও কোনও রকম সমাধান নিয়ে আসে না। সম্পর্কে কোনও রকম বোঝাপড়া করতে নারাাজ তাঁরা। এই দম্পতিরাই বিবাহবিচ্ছেদের দিকে সবার আগে এগিয়ে আসেন।