ক্যাটরিনা কাইফ এবং ভিকি কৌশল। ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
তিনি অনেকের ঈর্ষার পাত্র। কারণ তাঁকে বিয়ে করেছেন ক্যাটরিনা কাইফ। ‘মাশান’-এ শ্মশানঘাটে ডোমের চরিত্রে নিজের অভিনয়ের জাত চেনালেও ভিকি কৌশল বলিউডের ‘নায়ক’ হয়ে ওঠেননি কখনও। সমালোচকেরা বলেন, ভিকি শক্তিশালী অভিনেতা। অন্য দিকে ক্যাটরিনা বলিউডে ঝড় তোলা নায়িকা। আগামী ডিসেম্বরেই দু’জনের দাম্পত্য জীবন তিন পার করবে। এক সাক্ষাৎকারে ওই দাম্পত্যজীবন নিয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল ভিকিকে। জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিন বছরের দাম্পত্যে কী কী শিখলেন তিনি? কতটা পরিণত হলেন দম্পতি হিসাবে? জবাবে ভিকি বললেন, ‘‘তিন বছরে যেটা খুব ভাল ভাবে বুঝেছি, তা হল ঝগড়া হলে, নিজেকেই উদ্যোগী হয়ে সামলাতে হবে। আর একটা বিশেষ কৌশল মেনে চললে, সেটা সামলানো সম্ভব।’’
মাসখানেক আগে করবা চৌথে ভিকির জন্য যত্ন করে সেজেছিলেন ক্যাটরিনা। ভিকির বাবা-মায়ের সঙ্গে সে দিনের প্রস্তুতির নানা মুহূর্তের ছবি দিয়েছিলেন নায়িকা। ভক্তরা সে সব দেখে বলেছিলেন, ক্যাটরিনাকে দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে বিয়ে করে তিনি ‘সুখী’। ভিকি বলছেন, ‘‘সুখী দাম্পত্যের গোপন কথাই হল, ঝগড়া হলে যুক্তি দিয়ে কিছু বোঝাতে যেয়ো না। কারণ যে মানুষটির সঙ্গে ঝগড়া হচ্ছে, সে তখন আবেগ দিয়ে ভাবছে। সে তখন যুক্তিবুদ্ধির পরোয়া করে না।’’
ভিকি মনে করেন, স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে ঝগড়া হয় তার কারণ এক জন যুক্তি মেনে চলেন এবং অন্য জন আবেগের বশবর্তী হয়ে কথা বলেন। দুটো বিষয়ের মধ্যে কোনও না কোনও সময়ে সংঘাত হতে বাধ্য। তাই যখন সেটা হয়, তখন সেই মানুষটার কথা সবচেয়ে বেশি শোনা উচিত যে বেশি আবেগতাড়িত। ভিকি বলছেন, ‘‘আপনি হয়তো স্পষ্ট বুঝতে পারছেন, ঝগড়া কেন হচ্ছে। কিন্তু আপনি যদি সেটা উল্টো দিকের আবেগতাড়িত মানুষটাকে বোঝাতে যান, তবে তার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হবে, ‘আমি কারণ জানতে চাই না। যা হয়েছে তাতে আমার এটা মনে হয়েছে।’ আপনি কারও মনে হওয়াকে যুক্তি দিয়ে ঠিক করতে পারবেন না। তাই এমন পরিস্থিতিতে হলে যুক্তি দিয়ে না বুঝিয়ে আবেগকে শান্ত করার চেষ্টা করুন। তবেই ঝগড়া মিটবে।’’