খুদের রাগ নিয়ন্ত্রণ করবেন কী ভাবে? —প্রতীকী ছবি।
বাবা-মায়েরা প্রায়ই দেখেন যে তাঁদের সন্তানরা একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ করছে। এমনকি স্কুলে গিয়েও বন্ধুদের সঙ্গে হাতাহাতি করে বাড়ি ফেরে অনেক শিশুই। অনেক সময় আপনার কোনও কাজ সন্তানের পছন্দ না হলে রাগের মাথায় সে আপনাকেও আঘাত করার আগে ভাবে না। তবে ভেবে দেখেছেন কি, কেন এমনটা করে আপনার শিশু? শিশুরা অনেক ক্ষেত্রে বুঝেই উঠতে পারে না যে, কোনটা তাদের করা উচিত আর কোনটা করলে তাদের বকুনি খেতে হতে পারে। কর্মব্যস্ততার মাঝে আপনি আপনার সন্তানকে কতটা সময় দিচ্ছেন, তার উপরেও নির্ভর করে তাদের আচরণ। বাবা-মায়ের থেকে যথাযথ সময় না পেলেও শিশুর রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে অন্য কারও উপর। শিশু কথায় কথায় রেগে গেলে কী করে পরিস্থিতি সামাল দেবেন?
১. শিশুরা রাগ দেখালে তাদের বকাবকি করবেন না, বরং তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের ভুলটা বোঝানোর চেষ্টা করুন। সন্তান যদি কিছুতেই শুনতে না চায়, রেগে গিয়ে অন্যকে কিংবা নিজেকে আঘাত করে, তা হলে জড়িয়ে ধরে তাকে শান্ত করুন। বকুনির তুলনায় এই উপায়টি নিঃসন্দেহে বেশি কার্যকর হবে।
২. অনেক সময় অভিভাবকেরা নিজেরাই শিশুর সামনে পরস্পরের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ শুরু করেন। শিশুরা যা দেখবে তাই শিখবে। ভুলেও এই কাজ করবেন না। এতে শিশুদের মনে কুপ্রভাব পড়তে পারে। তারাও অন্যের সঙ্গে একই আচরণ করবে।
৩. খেলার মাঠে অথবা অন্য কোথাও আপনার সন্তান অন্য শিশুর সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ, হাতাহাতি করলে তখনই সেই স্থান থেকে তাকে সরিয়ে নিয়ে আসুন। বাড়িতে ঠান্ডা মাথায় সন্তানের সঙ্গে কথা বলুন। তার মনের কথা জানার চেষ্টা করুন। আপনি যে তার পাশে সব সময় আছেন, সেই কথাটা শিশুকে বার বার মনে করিয়ে দিন। অভিভাবকের পাশাপাশি শিশুর বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করুন।
৪. কোনও বন্ধু তাদের কোনও খেলনায় হাত দিলে অনেক শিশুই রেগে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। শিশুদের মনে ঈর্ষা তৈরি হতে দেবেন না। কোন ক্ষেত্রে কেমন ব্যবহার করতে হবে, সেই শিক্ষা আপনাকেই দিতে হবে। ছোট থেকেই তাদের বোঝানোর চেষ্টা শুরু করুন।
৫. শিশু কোন কোন ক্ষেত্রে এমন আচরণ বেশি করছে, তা লক্ষ করুন। আপনার শিশু রেগে যেতে পারে, এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই শিশুকে সবধান করুন। তার মনোযোগ অন্য দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করুন।