Mental Health After Divorce

বিচ্ছেদের যন্ত্রণা একা একা সামলে উঠতে পারছেন না? পাঁচ টোটকায় ফিরে পাবেন হারিয়ে ফেলা ‘নিজেকে’

বিচ্ছেদ মানে সব শেষ হয়ে যাওয়া নয়। কিন্তু সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর আবার নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া খুব একটা সহজও নয়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:০২
Symbolic image of divorce

বিচ্ছেদ মানেই যে সব কিছু শেষ এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। ছবি- সংগৃহীত

এক ছাদের নীচে থাকতে গিয়ে এতদিনের চেনা মানুষটাকে যদি হঠাৎ করে অচেনা মনে হয় বা একসঙ্গে থাকা মুশকিল হয়, সে ক্ষেত্রে আলাদা থাকার পরামর্শ দেন মনোবিদরাই। কিন্তু অনেক দিন একসঙ্গে পথ চলার পর, একলা হাঁটার অভিজ্ঞতা সকলের জন্য খুব সুখকর না-ও হতে পারে। তাই বলে বিচ্ছেদ মানেই যে সব কিছু শেষ এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। যদিও এই সময় মানসিক অবসাদ, বাকী জীবন কী ভাবে কাটাবেন সেই নিয়ে উদ্বেগ থাকা স্বাভাবিক। এই সময় নিজের মনকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে নিয়মিত কিছু অভ্যাস মেনে চলতে হবে।

Advertisement

নিজেকে ভাল রাখতে কী করবেন আর কী করবেন না?

১) বিশেষ থেরাপি

এমন একটি পরিস্থিতি একা একা সকলের পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব হয় না। বিচ্ছেদের পর মানসিক পরিবর্তন হয় সব চেয়ে বেশি। শরীর সারাতে যেমন চিকিৎসকের সাহায্য লাগে, তেমন মনের জটিল সমস্যা বা ক্ষতগুলি সারাতেও কিন্তু দক্ষ একজন মানুষের প্রয়োজন হয়। তাই এই রকম সময়ে মনোবিদের সাহায্য নিয়ে, বিশেষ কিছু থেরাপির মধ্যে থাকাই ভাল।

২) শরীরচর্চায় মন দিন

জীবনে যে পরিস্থিতিই আসুক না কেন, মনকে শান্ত রাখতে হবে। শরীরচর্চা করলে শুধু শরীর নয়, মনও ভাল থাকে। নিয়মিত ব্যায়াম বা প্রাণায়াম করলে ‘হ্যাপি হরমোন’ ক্ষরণ বাড়িয়ে ক্ষতিকারক কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে।

৩) স্বাস্থ্যকর খাবার খান

মানসিক অবসাদ কাটাতে অনেকেই মুখরোচক প্রক্রিয়াজাত খাবার খেয়ে ফেলেন। এমনকি খাবারের সময় সম্পর্কেও কোনও হুঁশ থাকে না। অনিয়মিত এই জীবন যাপন শরীরের আরও ক্ষতি ডেকে আনে। বিচ্ছেদের কষ্ট সাময়িক। তা কাটিয়ে উঠে নিজেকে ভাল রাখতে চেষ্টা করুন।

৪) পর্যাপ্ত ঘুমোন

এমন পরিস্থিতিতে মন অশান্ত থাকাটাই স্বাভাবিক। দীর্ঘ দিনের অভ্যাস ছেড়ে অনেকেই আবার একাকিত্বে ভোগেন। উদ্বেগের কারণে রাতে ঘুমও আসতে চায় না। কিন্তু অপর্যাপ্ত ঘুম শারীরিক জটিলতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

৫) বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান

কঠিন সময়ে কাছের মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান। অবশ্য কাছের মানুষ মানেই তা পরিবারের কাউকে হতে হবে এমন নয়। বিশ্বস্ত এমন একজন মানুষ জীবনে থাকা প্রয়োজন, যার কাছে মনের সব কথা উজাড় করে বলা যায়।

আরও পড়ুন
Advertisement