Bizarre

তিন নারী, এক পুরুষ, এমন প্রেমের সংজ্ঞা কী, তা জানেন না চার জনেই

খুব অল্প দিনের মধ্যেই বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্ব থেকে প্রেম হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। তবে অস্বাভাবিক হল, একই সঙ্গে তিন তরুণী এবং এক তরুণের প্রেমের সম্পর্ক।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২৪ ২১:৩৩
Three women in a polyamorous relationship with a guy

— প্রতীকী ছবি।

অনলাইন ভিডিয়ো গেম খেলতে গিয়ে আলাপ রেমন্ড, টিফ্যানি, হ্যামি এবং জিসেলের। খুব অল্প দিনেই বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্ব থেকে প্রেম হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। তবে অস্বাভাবিক হল, একই সঙ্গে তিন তরুণী এবং এক তরুণের প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু তাকে যে ‘পরকীয়া’ বলা যাবে, তেমনও নয়। তাঁরা কেউই কারও সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। কিন্তু সমাজে এই ধরনের সম্পর্কের কোনও স্বীকৃতি নেই। তবে, এই চারমূর্তির গল্পটা একটু আলাদা।

Advertisement

এ যেন আক্ষরিক অর্থেই ‘সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’। সম্পর্ক বললেও সমাজের চোখে তা ঠিক স্বাভাবিক সম্পর্কের মতো নয়। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় ‘পলিঅ্যামোরাস’। অর্থাৎ যাঁরা একই সঙ্গে বহুপ্রেমে বিশ্বাসী। সে প্রেম শারীরিক না-ও হতে পারে। কিন্তু যদি হয়, সে ক্ষেত্রে কোনও লুকোছাপা থাকে না। সকলেই সকলের সঙ্গে সে কথা ভাগ করে নেন। পারস্পরিক সততা, সম্মান, দায়িত্ববোধ এবং বিশ্বাস বজায় রেখেই কোনও সম্পর্কে শামিল হওয়ার পন্থী হন তাঁরা। টিফ্যানি বলেন, “সম্ভবত আমিই এ ক্ষেত্রে প্রথম এই শব্দটি উচ্চারণ করি। কারণ, আমাদের চার জনের মধ্যে যে বন্ধন তৈরি হচ্ছিল, তা খুব একটা সাধারণ নয়।”

তিনি জানিয়েছেন, ক্রমে চার বন্ধু একই বাড়িতে এক ছাদের তলায় থাকতে শুরু করেন। হ্যামি বলেন, “এটা কিন্তু কোনও হুজুগ নয়। আমরা সত্যিই ভাল আছি।”

শুরুর দিকে রেমন্ডের কিছু সমস্যা ছিল। তিনি মনে করতেন, এই ধরনের সম্পর্কে থেকে সুস্থ সমাজে বসবাস করা যায় না। শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে পরে তিনিও বুঝতে পারেন, আসলে তাঁরা কেউই কাউকে ছেড়ে থাকতে পারবেন না। সামাজিক স্বীকৃতি না থাকলেও এই সম্পর্ক থেকে কারও ক্ষতি হতে পারে না। তাই কটাক্ষ, নীতি পুলিশের কুকথা, ট্রোলকে পাত্তা না দিয়েই তাঁরা চার সঙ্গী মিলে গেয়ে চলেছেন ভালবাসার জয়গান।

Advertisement
আরও পড়ুন