কোন কথা কী ভাবে বললে তা শিশুর মনে আঘাত করবে না তা জানতে হবে অভিভাবককেই। প্রতীকী ছবি।
কাজের চাপ এবং নিজেদের নানা সমস্যা সামলে সন্তান মানুষ করতে গিয়ে অনেক সময়ই হিতাহিত জ্ঞান থাকে অভিভাবকদের। সন্তানের জেদ, আবদার সামাল দিতে গিয়ে না চাইতেই কখনও জিনিসে ভরিয়ে দিয়েছেন, আবার কখনও এমন কড়া শাসনে রেখেছেন, যে খুদের জেদ আরও বেড়ে গিয়েছে। শাসন করতে গিয়ে মেজাজ হারিয়ে এমন কিছু কথা বলে ফেললেন যে তার জের চলল বহুদিন।
মনোবিদরা বলছেন, সব শিশুর ক্ষেত্রেই যে এমনটা হবে তা নয়। কিন্তু অনেক শিশুই সব কথা মন খুলে বলতে পারে না। সে ক্ষেত্রে অনেক কথাই তাদের মনের গভীরে ক্ষত সৃষ্টি করে। সন্তানকে মানুষ করতে গেলে শাসন অবশ্যই করতে হবে। কিন্তু কোন কথা কী ভাবে বললে তা শিশুর মনে আঘাত করবে না তা জানতে হবে অভিভাবককেই।
কী কী কথা বলবেন না?
১) তুমি একটা বোকা
আপনার কথায় আপনার সন্তানের আত্মবিশ্বাস যেন ভেঙে না যায়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সব শিশুর মানসিকতা, বুদ্ধির বিকাশ, এক রকম নয়। তাই সরল মনে কোনও একটা কাজ করে ফেললেও তাকে ‘বোকা’, ‘গাধা’ বলে তিরষ্কার না করলেই ভাল।
২) নাটক কোরো না
মা-বাবার কাছে বকা খাওয়ার ভয়ে হয়তো শিশুটি নিজের কোনও ভুল স্বীকার করতে পিছপা হচ্ছে বা অসংলগ্ন কথা বলছে। সেই সময় হয়তো দুম করে বলে দিলেন ‘নাটক করো না’। এই ধরনের কথা কিন্তু বাচ্চাদের মনে আঘাত করে।
৩) তুমি এত বাজে কেন?
সন্তানের বায়না সামলাতে না পেরে হয়তো তারই বয়সী অন্যান্য বন্ধুর সঙ্গে তুলনা করে ফেললেন। সবসময় তার ফল কিন্তু ভাল হয় না। বায়না করলেই যে সব জিনিস দিতে হবে তা নয়, কিন্তু কেন দিচ্ছেন না, তা বুঝিয়ে বলা জরুরি। তা না করে ‘তুমি খুব বাজে’ এই কথা বলবেন না।
৪) আমরা এটা দিতে পারব না
বন্ধুর দেখে কোনও দামী জিনিসের বায়না করতেই পারে সন্তান। মুখের উপর সরাসরি না বলে দেওয়া খুব সহজ। আবার তাদের সামনে এই সমস্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনাও করাই যায়। কিন্তু এই সব কিছুর ছাপ পড়ে সন্তানের মনে।
৫) কী হয়েছে তোমার?
সে এমন আচরণ কেন করছে তা জানতে চাওয়ার অনেক উপায় আছে। বকে, ধমকে জানতে চাওয়ার কোনও কারণ নেই। বন্ধুর মতো মিশে কথা বলতে পারলে ভাল। কিন্তু অন্যথা হলে সে মনের কথা গোপন করে যাবে।