রেস্তরাঁর বদলে প্রথম সাক্ষাতে সঙ্গীকে নিয়ে চলুন অন্য কোনও জায়গায়। ছবি: সংগৃহীত।
গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়ে ভাললাগার মানুষটিকে আড়চোখে দেখা, চোখে চোখ পড়লে সলজ্জ হাসি এখন অতীত। গোলাপ দিবসে লাল গোলাপে মন নিবেদনও সেকেলে হয়ে গিয়েছে। ‘জেন জ়ি’ সঙ্গী খুঁজতে এখন নাম লেখায় ডেটিং অ্যাপে। বিশ্বায়নের ছোঁয়ায় মনের মানুষ খুঁজে নিতে ভরসা যখন ডেটিং অ্যাপ, তখন প্রথম দেখায় কোথায় যাবেন সেটাও তো কম গুরুত্বপূর্ণ নয়!
শুরুতে ভার্চুয়াল জগতে ছবি দেখে ভাল লাগা, তার পর ফোনে ফোনে কথা। কিছুটা চেনা হয়েই যায়। কিন্তু প্রথম বার কাউকে সামনে থেকে দেখার ব্যাপারটাই অন্য রকম। মনের মধ্যে থাকে আনন্দ, উত্তেজনা। আবার বুকের ভিতর লুকিয়ে থাকে চোরা একটা ভয়ের স্রোত। সুতরাং প্রথম বার দু’টি মানুষের মুখোমুখি হওয়ার মুহূর্তটা ‘বিশেষ’ না হলে চলবে কী করে?
মানুষটিকে ভাল করে পরখ করে নিতে রেস্তরাঁ বা ক্যাফেতে কফি নিয়ে কথা বলার চলও পুরনো হতে বসেছে। ‘কফি ডেট’-এর বদলে আরও অন্য ভাবে কিন্তু সেই মানুষটিকে চিনে নেওয়া যেতে পারে।
প্রকৃতির সান্নিধ্যে হাঁটা
খোলা আকাশের নীচে নিরিবিলি কোনও জায়গায় যদি বিশেষ মানুষটির সঙ্গে হাঁটা যায়! সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে অনেকেরই অসুবিধা হয়, বিশেষত বিষয়টা যখন প্রেম নিয়ে। হাঁটার সময় কিন্তু আড়চোখেই পাশের মানুষটিকে দেখে নেওয়া যায়। কখনও কখনও চোখে চোখ পড়লে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করা যায় সে চোখের ভাষা। একসঙ্গে হাঁটতে গিয়ে কখনও ছুঁয়ে যেতে পারে আঙুলে আঙুলও। ক্যাফেতে বসে কফি খাওয়ার চেয়ে এ ভাবেও ডেটিং মন্দ হবে না।
প্রদর্শনী বা অনুষ্ঠান
যদি দু’জনেরই পছন্দ চিত্রকলা, ভাস্কর্য বা ফোটোগ্রাফি হয়, যদি দু’জনেই ভালবাসেন নাটক দেখতে, যদি সুর মিলে যায় দু’জনের, তা হলে প্রথম দেখা তেমন ভাবেও হতে পারে। কোনও চিত্রপ্রদর্শনী বা ফোটোগ্রাফির প্রদর্শনীতে চার চোখ মিলতেই পারে। কথা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পছন্দের বিষয় দু’জনের কাছে রইলই। ভাল লাগা যদি নাচ, গান বা নাটকে মিলে যায় দু’জনের, তা হলে তেমন কোনও অনুষ্ঠানেও প্রথম দেখা কি খুব খারাপ কিছু হবে?
বই-ক্যাফে
ইদানীং এমন অনেক ক্যাফে তৈরি হয়েছে, যেখানে বইও পড়া যায়। দু’জনের পছন্দের বিষয় বই হলে এমন কোনও ক্যাফে বেছে নেওয়া যেতেই পারে।
বিনোদন পার্ক
সঙ্গী কি অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়? তবে কিন্তু সাক্ষাৎ হতে পারে কোনও বিনোদন পার্কে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের রাইডে চড়ার উত্তেজনার পাশাপাশি আর একটু ভাল করে চেনাজানার সুযোগ হয়ে যাবে পরস্পরকে।
ডেটিং বিষয়টিকে নির্দিষ্ট ছকে না বেঁধে দু’জন মানুষের যে সাধারণ ভাল লাগা রয়েছে, সেগুলোকেই কিন্তু গুরুত্ব দেওয়া যেতে পারে। ডেটিং মানেই এমন নয় যে, প্রচুর টাকা খরচ করলে অন্য জনের মন জয় করা যাবে। বরং দু’জনের ভাল লাগা, খারাপ লাগা যাতে সহজে আদানপ্রদান করা যায়, সেটাই দেখতে হবে।