jennifer lopez

নিজের খুশির জন্য অন্যের উপর ভরসা করা বৃথা! জীবনের সারসত্য উপলব্ধি করেছেন জেনিফার লোপেজ়

দীর্ঘদিনের প্রেমিক বেন অ্যাফ্লেকের সঙ্গে বহু বছর পরে বিয়ে। তার পরেই বিচ্ছেদের মামলা। জেনিফার অবশ্য জানাচ্ছেন, তিনি ভাল আছেন। শুধু তা-ই নয় ভাল থাকার মূল মন্ত্রও জানতে পেরেছেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:০৩
ভাল থাকার মন্ত্র জেনিফার লোপেজ়ের হাতের মুঠোয়।

ভাল থাকার মন্ত্র জেনিফার লোপেজ়ের হাতের মুঠোয়। ছবি: জেনিফার লোপেজ়ের ফেসবুক পেজ থেকে।

নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করছেন জেনিফার লোপেজ়। সেই সফরে জীবনের সঙ্গে নতুন করে চেনাশোনাও হচ্ছে তাঁর। এক সাক্ষাৎকারে হলিউডের অভিনেত্রী এবং পপ গায়িকা বলছেন, তিনি এত দিনে বুঝে উঠতে শুরু করেছেন, জীবনের কাছ থেকে তিনি আসলে কী চান?

Advertisement

ইন্টারভিউ পত্রিকাকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে জেনিফার বলেছেন, ‘‘আমি এক জন সুখী মানুষ। অথচ তা সত্ত্বেও ভাল থাকার জন্য আমি অন্যদের উপর নির্ভর করতাম। না -জানা এক অলীক শূন্যস্থান পূরণের আশা করতাম অন্য মানুষের কাছে। এত দিনে বুঝলাম। ব্যাপারটা ভুল। আমি একাই যথেষ্ট ভাল থাকার জন্য।’’ এই অগস্টেই স্বামী বেন অ্যাফ্লেকের থেকে বিচ্ছেদের মামলা করেছেন জেনিফার।

বেন অ্যাফ্লেক এবং জেনিফার লোপেজ়। দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর ২০২২ সালে দু’জনের সম্পর্ক জোড়া লাগে। বিয়েও করেন। কিন্তু দু’ বছরের মধ্যেই হয় বিচ্ছেদের মামলা।

বেন অ্যাফ্লেক এবং জেনিফার লোপেজ়। দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর ২০২২ সালে দু’জনের সম্পর্ক জোড়া লাগে। বিয়েও করেন। কিন্তু দু’ বছরের মধ্যেই হয় বিচ্ছেদের মামলা। ছবি: সংগৃহীত

হলিউডের অস্কারজয়ী অভিনেতা বেনের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক জেনিফারের। সেই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার বহু বছর পরে ২০২২ সালে আবার দু’জনের সম্পর্ক জোড়া লাগে। দু’জনে বিয়েও করেন। কিন্তু সেই বিয়ে দু’ বছর পেরনোর আগেই গড়াল বিচ্ছেদে। অনেকেই ভেবেছিলেন, বিচ্ছেদে ভেঙে পড়বেন জেনিফার। কিন্তু জেনিফার জানিয়েছেন, তিনি শুধু ভাল আছেন তা-ই নয়, ভাল থাকার মূল মন্ত্রও এখন তাঁর হাতের মুঠোয়।

জেনিফারের মতে, ‘‘যদি আমরা এগোতে না পারি তবে বুঝতে হবে এক অর্থে আমাদের মৃত্যু হয়েছে।’’

জেনিফারের মতে, ‘‘যদি আমরা এগোতে না পারি তবে বুঝতে হবে এক অর্থে আমাদের মৃত্যু হয়েছে।’’ ছবি: সংগৃহীত

জেনিফার বলেছেন, ‘‘আমি এখন নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করছি। সেই সফর সহজ নয় এটা গোটা জীবনের প্রক্রিয়া। তবে ওই অনিশ্চয়তার জন্যই জীবন আমার কাছে প্রিয়। আমরা কোথায় পৌঁছচ্ছি সেটা জরুরি নয়। কী ভাবে চলছি, এগোচ্ছি কি না, আরও উন্নত হচ্ছি কি না, সেটাই জরুরি।’’ জেনিফারের মতে, ‘‘যদি আমরা এগোতে না পারি তবে বুঝতে হবে এক অর্থে আমাদের মৃত্যু হয়েছে। আমার কাছে মৃত্যুর থেকে এগিয়ে যাওয়াটাই শ্রেয়।’’

জেনিফার এখন ৫৫। তবে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি অবশেষে বুঝেছেন, ‘‘নিজেকে নিয়ে আনন্দে থাকতে পারাটাই আমাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত। কখনও সখনও এটা দুঃখের বলে মনে হলেও আদতে দীর্ঘমেয়াদে এই ভাবনাটাই আপনাকে ভাল রাখবে। কোনও সম্পর্কে থাকা বা না থাকা আমার মূল্য নির্ধারণ করতে পারে না। কারণ আমরা নিজেদের সুখের চাবিকাঠি অন্যের ঘরে খুঁজতে পারি না। সেটা আমাদের নিজেদের ঘরেই খুঁজে পেতে হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement