গরমে পোষ্যের কষ্ট যাতে না হয়, সে কারণে অনেকেই এখন বাইরে হাঁটতেও নিয়ে যেতে চান না। ছবি- সংগৃহীত
গরমে পারদ যত চড়ছে, এসি-র তাপমাত্রা তত কমছে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে পা রাখার কথা ভাবলেই গরম হলকা ধেয়ে আসছে। কিছু দিন আগে পর্যন্ত শুধু দুপুরবেলায় এসি চালাতে হচ্ছিল। কিন্তু এখন শুধু স্নান আর প্রয়োজনটুকু ছাড়া ঠান্ডা ঘরের বাইরে বেরোনো যাচ্ছে না। নিজে তো বটেই, এই গরম থেকে বাঁচতে সঙ্গের পোষ্যটিকেও কাছ ছাড়া করছেন না। মানুষের মতো চারপেয়েদেরও কিন্তু গরমে কষ্টের অন্ত নেই। মানুষের সঙ্গে সঙ্গে তাদেরও কিন্তু ডিহাইড্রেশন, ডায়েরিয়া, হিট স্ট্রোকের মতো নানা উপসর্গ দেখা যায়। এ ছাড়াও পোষ্যদের গায়ে লোমের ঘনত্ব বেশি থাকায় তাদের শরীরে গরমের পরিমাণও বেশি। তাই তাদের জন্য ঘরের সব চেয়ে ঠান্ডা কোণ বেছে রাখা, খাবার সাধারণ জলে অল্প ঠান্ডা জল মিশিয়ে দেওয়া, খাবারের তালিকায় দই, ফল ইত্যাদি যোগ করা শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। গরমের এই দাবদাহে পোষ্যের কষ্ট যাতে না হয়, সে কারণে অনেকেই এখন বাইরে হাঁটতেও নিয়ে যেতে চান না। কিন্তু সারা দিন এসি ঘরে বসে থেকে তাদের শারীরিক সমস্যা আরও বেড়ে যাচ্ছে না তো?
পশু চিকিৎসকদের মতে, গরম এবং অতিরিক্ত আর্দ্রতার হাত থেকে পোষ্যদের বাঁচাতে এসি ঘরে রাখা ভাল। বিশেষ করে পাগ, বুলডগ— এর মতো কিছু প্রজাতি রয়েছে, যাদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট এবং হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তাদের বেশি গরমে একেবারেই রাখা উচিত নয়।
পাশাপাশি, সারা দিন ঠান্ডা ঘরের মধ্যে থেকে হঠাৎ করে ঘরের বাইরে বেরোলে আবহাওয়ার যে পরিবর্তন হয়, তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে ওঠা পোষ্যদের জন্য বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ হল, পোষ্যদের ঠান্ডা ঘরে রাখুন। কিন্তু প্রয়োজন বুঝে তাপমাত্রা বাড়াতে বা কমাতে হবে। ঘর থেকে বেরোনো বা বাইরে থেকে ঠান্ডা ঘরে ঢোকার সময়েও সতর্ক থাকতে হবে।