পোষ্যেরও হতে পারে হিট স্ট্রোক। ছবি: শাটারস্টক।
উষ্ণতার পারদ চড়তে শুরু করেছে। এই সময় নিজেদের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি বাড়ির পোষ্যটিকেও নজরে রাখা জরুরি। গরমে তাঁদেরও তো কষ্ট হয়। আমাদেরই মতো বাড়ির সারমেয়টিরও ‘হিট স্ট্রোক’ হতে পারে।
কয়েকটি প্রজাতির কুকুরদের অন্যদের তুলনায় হিট স্ট্রোকের প্রবণতা বেশি। লোমযুক্ত কুকুর, ছোট নাক কিংবা যারা চিকিৎসাজনিত সমস্যায় ভুগছে তাদের হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেশি।
কুকুরদের হিট স্ট্রোকের কারণ:
১) চারপাশের উত্তাপ এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতা আচমকা প্রচণ্ড পরিমাণে বেড়ে যাওয়া।
২) নাক, গলা বা শ্বাসনালির সংক্রমণের কারণেও ‘হিট স্ট্রোক’ হতে পারে কুকুরের।
২) বিষাক্ত কিছু খেয়ে ফেললেও অনেক সময় শরীরের উত্তাপ বেড়ে গিয়ে এই সমস্যা হয়।
কোন কোন ক্ষেত্রে সমস্যা বেশি
১) কুকুরের বয়স বেশি হলে
২) ওজন অত্যন্ত বেশি হয়ে গেলে
৩) ফুসফুস বা হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা থাকলে
৪) থাইরয়েড গ্রন্থির ক্ষরণ কোনও কারণে বেড়ে গেলে
৫) নাক চাপা প্রজাতির কুকুরের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি হয়
৭) জল কম খেলেও এর আশঙ্কা বাড়তে পারে
হিট স্ট্রোকের লক্ষণ
১) এমনটা হলে কুকুরের শ্বাসের গতি অনেক বেড়ে যায়। জিভ শুকিয়ে যায়, নাকও শুকিয়ে যায়।
২) শরীরের তাপমাত্রা ১০৩ ডিগ্রি ফাহরেনহাইন পর্যন্ত উঠে যেতে পারে।
৩) মূত্রের পরিমাণ অত্যন্ত কমে যাওয়া।
৪) মেজাজ খারাপ হয়ে যাওয়া, তার সঙ্গে ঝিমিয়ে পড়া।
৫) হৃদ্যন্ত্রের গতি অত্যন্ত বেড়ে যাওয়া।
কী করবেন
আপনার পোষ্য ‘হিট স্ট্রোক’ আক্রান্ত হলে প্রথমেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তাঁরা দেখবেন আপনার পোষ্যের শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য ঠিক আছে কি না, রক্তচাপ ঠিক আছে কি না, তা যাচাই করবেন এবং সেই মতো তিনি ব্যবস্থা করবে। তারই মধ্যে চেষ্টা করতে হবে, ওকে বেশি পরিমাণে জল খাওয়াতে। আর পারলে ঠান্ডা জলে তোয়ালে ভিজিয়ে নিয়ে তা দিয়ে ওকে মুড়ে দিয়ে রাখুন।