3 idiots

Bromance: প্রেম-সম্পর্ক-সব কিছুর পরেও কেন ‘ব্রোম্যান্স’ এত প্রিয়? ছেলেদের বন্ধুত্ব আলাদা কোথায়

‘সোনু কি...’ ছবির মতো কার্তিক আরিয়ানের লম্বা মোনোলগের প্রয়োজন নেই। মহিলাদের ছোট না করেও অনেক ভাবে সুন্দর হতে পারে ছেলেদের বন্ধুত্ব।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২১ ২০:২৫
 ‘থ্রি ইডিয়টস’এর গল্প জানেন না এমন লোক খুব কমই পাওয়া যায় এই দেশে।

‘থ্রি ইডিয়টস’এর গল্প জানেন না এমন লোক খুব কমই পাওয়া যায় এই দেশে।

ফারহান তখন বিমানে, সবে মাটি ছেড়েছে। একটা ছোট্ট মেসেজ পেল সে। সঙ্গে সঙ্গে হৃদ্‌রোগের অভিনয় করে সমস্ত প্লেনে হুলুস্থুল কাণ্ড করে সে বাধ্য করল বিমান আবার মাটিতে নামাতে। তার পর হুইলচেয়ারে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হলে সে ছুটে পালিয়ে গেল বিমানবন্দর থেকে। অন্য দিকে রাজু, প্রায় সেই একই সময়ে, সেই একই মেসেজ পেয়ে পাঞ্জাবীর তলায় কিছু না পরেই সঙ্গে সঙ্গে ছুটে বেরিয়ে গেল বাড়ি থেকে। ভুলেই গেল যে সে প্যান্ট পরার কথা। এই সব কিছুর পেছনে ওই একটা মেসেজ। বহু দিন পর তাদের প্রিয় বন্ধু রাঞ্চোর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে সেই মেসেজে। তাতেই এত কিছু। তার পর যা হয়েছিল, তা সকলেই জানে। ‘থ্রি ইডিয়টস’এর গল্প জানেন না এমন লোক খুব কমই পাওয়া যায় এই দেশে।

এ রকম ছবি দেখে অনেক সময়েই নিজের জীবনে এই চরিত্রগুলির সমান্তরাল খুঁজতে ইচ্ছে হয়। বিশেষ করে ছোটদের মধ্যে, এই ধরনের ছবি দেখার পরেই একটা ‘থ্রি মাস্কেটিয়ার্স’এর একজন হওয়ার প্রবল বাসনা জাগে। তিন ছেলের এই ‘ব্রোম্যান্স’এর জ্বরে কাবু একটি গোটা প্রজন্ম। তৈরি হয়ে গেল ছেলেদের বন্ধুত্ব নিয়ে একটা অলিখিত রোমান্টিকতা। সব সময়ে যে তার মানে ‘সোনু কি টিটো...’ ছবির মতো কার্তিক আরিয়ানের লম্বা মোনোলোগের প্রয়োজন তা নয়, কোনও মহিলাকে ছোট না করেও অনেক ভাবে সুন্দর হয়ে উঠতে পারে ছেলেদের বন্ধুত্ব। খুব ছোট ছোট কারণেই অনেক সময়ে দু’জন পুরুষের মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে।

Advertisement
দিল চাহতা হ্যায় ছবিতেও দেখা গিয়েছিল এই ধরনের বন্ধুত্ব।

দিল চাহতা হ্যায় ছবিতেও দেখা গিয়েছিল এই ধরনের বন্ধুত্ব।

নেটমাধ্যমে বন্ধুত্বের খুব একটা হদিশ নেই

অনেক সময়েই দেখা যায়, দুই ছেলের মধ্যে বহু বছরের বন্ধুত্ব থাকলেও নেটমাধ্যমে তাদের কোনও ছবিই নেই। বা এমনিতেও, দু’জনে এক সঙ্গে ছবি তোলার খুব একটা ধার ধারে না। কিন্তু তাতে দু’জনের কারওই খুব একটা যায় আসে বলে মনে হয় না।

সহজেই টাকার হিসাব করা

বেশির ভাগ সময়ে দু’জন ছেলে বন্ধুর মধ্যে টাকাপয়সার লেনদেন সহজেই হয়ে যায়। গোটা খরচের মধ্যে কোনও একটি জিনিসের দাম একজন দিয়ে দিলে, অন্য জন হয়তো অন্য কিছুর খরচ সামলে দেন। সেখানেই সব হিসাবের খাতা বন্ধ।

বহু দিন কথা না হলেও রসায়ন থাকে অটুট

অনেক সময়ে বহু দিন টানা কথা বা দেখা না হলেও সচরাচর বন্ধুত্বে কোনও ফাটল ধরে না। বহু দিন পর দেখা হলেও সেই একই সখ্যতা, হাসি-ঠাট্টায় মেতে উঠতে খুব একটা সমস্যা হয় না কারওই।

প্রেমের বিষয়ে কথা বলা

কাউকে পছন্দ হলে, বা কেউ প্রেমের সম্পর্কে থাকলে সেই নিয়ে অনায়াস আলোচনা হয় ছেলেদের মধ্যে। সম্পর্কের কোনও সমস্যার কথা, বা যাকে পছন্দ তাকে বলতে না পারার কথা অনায়াসেই একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া যায় এই বন্ধুত্বে।

নীরবতায় অস্বস্তি না হওয়া

অনেক সময়েই দুই বন্ধু অনেক ক্ষণ কথা না বললেও তাদের খুব একটা সমস্যা হয় না। অন্য সম্পর্কে এই নীরব মুহূর্তগুলি অস্বস্তিকর হলেও, সে সব ভাবনার কোনও জায়গাই নেই এই সম্পর্কে।

আরও পড়ুন
Advertisement