Ex lover

Friends with Ex: বিচ্ছেদের পরও প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে চান? কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন

অনেক সময়ে এই বিচ্ছেদগুলি খুব অজান্তে হয়ে যায়। হঠাৎ এক দিন দু’জনে বুঝতে পারেন যে তাঁর মানসিক ভাবে একে অপরের থেকে অনেকটা দূরে সরে গিয়েছেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২১ ১৬:৫১
সম্পর্ক ভাঙলেও কোনও চিড় ধরেনি রণবীর-দীপিকার বন্ধুত্বে।

সম্পর্ক ভাঙলেও কোনও চিড় ধরেনি রণবীর-দীপিকার বন্ধুত্বে।

জীবনে একাধিক বার প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন প্রায় সকলে। কিছু সম্পর্ক বহু বছর টিকে যেতে পারে, কিছু সম্পর্কের সময়কাল কয়েক মাসেই থেমে যায়। একটা সময় জুড়ে আর একজন মানুষকে চেনা, তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়া, নিজের ভাল-খারাপ সবটুকু নিয়ে তাঁর সামনে মেলে ধরতে অনেক সাহস লাগে। একটা বিপুল ভরসার জায়গা, ভালবাসার জায়গা না পেলে সেই গভীরতায় অনেকেই যেতে পারেন না।

কিন্তু যখন এই সম্পর্কগুলি ভেঙে যায়? যখন হঠাৎ করে এক দিন সকালে উঠে সেই ভালবাসার মানুষটিকে আর ‘নিজের’ বলা যায় না, ওই মুহূর্তগুলির বিহ্বলতা হয়তো কমবেশি সকলকেই তাড়া করেছে কখনও না কখনও। কিছু কিছু ক্ষত সারা জীবন থেকে যায়, আবার কিছু ক্ষত হাল্কা হয়ে এলেও মাঝেমধ্যেই অনুভূতির মধ্যে দিয়ে নিজের অস্তিত্বের জানান দেয়। অনেক সময়ে এই বিচ্ছেদগুলি খুব অজান্তে হয়ে যায়। হঠাৎ এক দিন দু’জনে বুঝতে পারেন যে তাঁর মানসিক ভাবে একে অপরের থেকে অনেকটা দূরে সরে গিয়েছেন। কোনও অপমান নয়, বা এক জনের কোনও ধরনের নিম্নমানের আচরণও নয়, অনেক সময়েই একটা অদ্ভুত নাম-না-জানা দূরত্ব চলে আসে দু’জনের মধ্যে। এই দুরত্বগুলি দূরে সরিয়ে দেয় সম্পর্কে থাকা মানুষদের, সেই থেকে বাসা বাঁধে ক্লান্তি, সেই থেকে বিচ্ছেদ।

Advertisement
সম্পর্কে ছিলেন, ভাঙনও ধরেছিল সেই সম্পর্কে। তবুও এখনও নিজেদের বন্ধুত্ব বজায় রেখেছেন রণবীর সিংহ-অনুষ্কা শর্মা।

সম্পর্কে ছিলেন, ভাঙনও ধরেছিল সেই সম্পর্কে। তবুও এখনও নিজেদের বন্ধুত্ব বজায় রেখেছেন রণবীর সিংহ-অনুষ্কা শর্মা।

কিন্তু ওই মন খারাপ, বা তার থেকেও বেশি ওই শূন্যতার অনুভূতি কাটিয়ে ওঠার পরে সেই প্রাক্তনের সঙ্গে অনেকেই আর যোগাযোগ রাখতে চান না। ভয় থাকে আবার কষ্ট পাওয়ার। কিন্তু সেই ভয়ের কারণে যদি আপনি একজন বন্ধুকে হারিয়ে ফেলেন, তখন কি এই খারাপ লাগাগুলি অতটা যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয়?

নিজেকে সময় দিন

বিচ্ছেদের পরের কিছু দিন অত্যন্ত কঠিন বলে মনে হয় সকলেরই। সেই মুহূর্তগুলি অনেক সময়েই মানসিক শান্তিতে ব্যাঘাত ঘটায়। নিজেকে সময় দিন, পারলে কোথাও কয়েক দিনের জন্য বেড়াতে যান। নতুন জায়গা দেখলে, নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা করলে আপনার মানসিক অস্থিরতা কমতে পারে।

প্রাক্তনের সঙ্গে শান্ত ভাবে কথা বলুন

কোনও সম্পর্ক ভেঙে গেলে অনেক খারাপ লাগা, রাগ, অভিমান দানা বাঁধে মনের মধ্যে। তাই কিছু দিন নিজেকে সময় দিয়ে চেষ্টা করুন আবার সেই মানুষটার সঙ্গে একটা কথোপকথনে আসার। একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করুন, শান্ত ভাবে কথা বলে খারাপ লাগাগুলি ব্যক্ত করুন, সামনের জনের খারাপ লাগাগুলি শুনুন। যাতে ওই খারাপ লাগা, অভিমানগুলির তীব্রতা কিছুটা হলেও কমে যেতে পারে।

সৎ থাকুন

যেই মানুষের সঙ্গে আপনি একটা বড় সময় জুড়ে সম্পর্কে ছিলেন, তিনি সম্ভবত আপনাকে অনেকটাই চেনেন। সেই সম্পর্কটা আর নেই ঠিকই। কিন্তু যদি আপনি তার সামনে কোনও রকম ভনিতা করেন বা অন্য রকম মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেটা আরও অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে। সব কিছু সহজ করাই যদি লক্ষ্য হয়, তা হলে সেই সততার জায়গা থেকে সরে আসবেন না।

নিজেদের পরিধির ব্যাপারে সচেতন থাকুন

সম্পর্কে থাকাকালীন অনেক সময়ই দু’জনের একে অপরের প্রতি এক ধরনের অধিকারবোধ জন্মে যায়। কিন্তু বিচ্ছেদের পরে সেই একই ধরনের ঘনিষ্ঠতা থেকে যাওয়া কঠিন। তাই কিছু বিষয়ে আপনার এবং তাঁর নিজস্ব পরিধির ব্যাপারে ওয়াকিবহাল থাকাই ভাল। মানসিক সুস্থতার জন্য তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

প্রাক্তনের অনুপস্থিতিতে তাঁর বিষয়ে কথা বলবেন না

বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে বলেই রাগ বা খারাপ লাগা থেকে আরও পাঁচ জনকে আপনার প্রাক্তনের ব্যাপারে কিছু বলা কখনওই শ্রেয় নয়। যদি আপনি একটা বন্ধুত্বের সম্পর্কে আসতে চান, তাঁর আত্মমর্যাদার সম্মান করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই যে সম্পর্কে ভরসার জায়গাগুলি, সম্পর্ক ভেঙেছে বলে সেটা ফেলে দেওয়ার তো কোনও মনে হয় না। সম্পর্ক থাকুক বা না থাকুক, এই সম্মানের জায়গাটা সব সময়েই একটা সুস্থতার লক্ষণ।

আরও পড়ুন
Advertisement