শব্দবাজির আওয়াজে পোষ্য ভয় পেলে কী করবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
কালীপুজো, দীপাবলি বা ছটের সময় আনন্দের নামে শব্দবাজির তাণ্ডবে দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা রয়েছে পোষ্যের প্রায় সব অভিভাবকেরই। বাজির আওয়াজে খুব কষ্ট পায় কুকুর-বিড়ালরা। পশু চিকিৎসক সবুজ রায় জানাচ্ছেন, বাজির বিকট আওয়াজে অসুস্থ হয়ে পড়ে অনেক পোষ্যই। ভয় ও আতঙ্কে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটে। তাই এই সময়টাতে বিশেষ নজর দিতে হবে পোষ্যের অভিভাবকদের।
কী ভাবে সাবধানে রাখবেন পোষ্যকে?
এখন বাজি কেনাবেচার উপরে যথেষ্ট নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, শব্দবাজি থেকে আলোর বাজি— সবেতেই কড়া নজর রয়েছে প্রশাসনের, তাতেও বাজি বিক্রি আটকে থাকছে কই! চিকিৎসকের পরামর্শ, কিছু সহজ পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার পোষ্যকে একটু আরামে রাখার চেষ্টা করা যায়। যেমন পোষ্যকে এমন ঘরে রাখুন যেখানে বাজির আওয়াজ কম পৌঁছবে। দরকারে ঘরের সব জানলা-দরজা বন্ধ করে হালকা কোনও মিউজ়িক চালিয়ে দিন বা টিভি চালু রাখুন। শব্দবাজির আওয়াজ যাতে কোনও ভাবেই তাদের কানে না যায়।
পোষ্য যদি ভয় পেয়ে খাটের তলায় ঢুকে পড়ে, সেখান থেকে তাদের বার করার চেষ্টা করবেন না। বরং বাড়িতে এমন জায়গা রাখুন যেখানে তারা নিরাপদ বোধ করতে পারে।
ভয় ও আতঙ্কে শরীরে জলশূন্যতার সমস্যা হতে পারে অনেক পোষ্যেরই। তাই তাদের জন্য প্রচুর পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
পশু চিকিৎসক জানাচ্ছেন, বাজির ভয় কাটানোর কোনও ওষুধ হয় না। পোষ্যের ঘন ঘন খিঁচুনি হচ্ছে দেখে অনেকেই নেটমাধ্যম খুঁজে ওষুধ কিনে খাইয়ে দেন। এমন করবেন না। শ্রবণশক্তি যার যত বেশি, বাজির আওয়াজে তার তত বেশি কষ্ট। তাই ঘুমের ওষুধ দিয়েও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। তেমন হলে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দীপাবলি চলে গেলেও বারুদের পোড়া গন্ধ দীর্ঘ সময় বাতাসে স্থায়ী হয়, যা ওদের পক্ষে অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক হয়ে দাঁড়ায়। তাই চেষ্টা করুন ওদের জন্য দূষণহীন জায়গা খুঁজে নিতে। প্রয়োজনে ঘরে বাতাস পরিশোধক যন্ত্রও বসাতে পারেন।