কথা কিছু কিছু বুঝে নিতে হয়। ছবি: সংগৃহীত।
এ হল ‘বুক ফাটে তবু মুখ ফোটে না’র মতো অবস্থা। প্রায় একই সময়ে রোজ দু’জনে অফিসে ঢোকেন, বেরোন। দেখা হলে কুশল বিনিময়ও হয়। মাঝে খেতে নামেন। তিনি যে দোকানে চা খেতে যান, আপনার পা যেন নিজে থেকেই সে দিকে চলে যেতে চায়। একঝলক তাঁকে দেখলেই বুকের ভিতরটা কেমন ধড়াস করে ওঠে। তাঁকে যে ভাল লাগে তা বুঝতেই পারেন। কিন্তু সাহস করে মনের কথা বলার সাহস হয় না। উল্টো দিকে বসা মানুষটি সম্পর্কে আপনি যা ভাবছেন, তিনি হয়তো তেমনটা মনেই করেন না। সহকর্মী হিসেবে যেটুকু পরিসর ছিল তা যেন নষ্ট না হয় সেই ভয় পান। তবে, তিনটি বিষয় মাথায় রাখলে সম্পর্কের এই জটিল অঙ্কও সহজ হতে পারে।
১) ‘ইশ্ক মে জলদি বড়া জ়ুরমানা’ এ তো অনেকেই জানেন। তাই হুড়োহুড়ি না করে সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করুন। তবে ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। কারও মনে হতেই পারে সেই মুহূর্তে কাছের মানুষকে মনের কথা বলতে না পারলে সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাবে, তা হলে অপেক্ষা না করাই ভাল।
২) আপনি যাঁকে ভালবাসেন, তিনি আপনাকে ভালবাসেন কি না তা ভাবতে গিয়ে অনেক সময়ে মনের কথা বলে ওঠা হয় না। অনেকে নিজের কথা বলতে কুণ্ঠাবোধ করেন, লজ্জা পান। তবে ভালবাসার ক্ষেত্রে উল্টো দিকের মানুষটি কী ভাবছেন তা নিয়ে এত চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।
৩) কী ভাবে মনের কথা প্রিয়জনকে জানাবেন তা নিয়ে অনেকেই আগে থেকে অনেক রকম পরিকল্পনা করে ফেলেন। তবে, আসল সময়ে এলে তখন আর মুখ থেকে কথা সরে না। যে ভাবে ভেবেছিলেন তা ঘেঁটে যায়। তার চেয়ে বরং সহজ ভাবে বলুন।