প্রাক্তনকে ভোলার ৫ উপায়। ছবি: সংগৃহীত
সম্পর্ক কয়েক মাসের হোক কিংবা বহু বছরের, বিচ্ছেদের পর দ্বিধা, সংশয়, মানসিক অস্থিরতার মধ্যে থাকেন অনেকেই। সম্পর্কে ইতি টানার পর প্রাক্তনকে ভোলা সহজ নয়। আর সেই সম্পর্ক যদি অনেক দিনের হয়, তখন সমস্যা আরও বাড়ে। অন্য কোনও কাজে মন বসে না। সম্পর্কের পাশাপশি পারিবার, কর্মক্ষেত্রেও সেই বিচ্ছেদের প্রভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে কারও কারও। সম্পর্ক মানেই আগামীর প্রত্যাশা, কাজেই আশাভঙ্গ কখনওই সুখের হয় না। কিন্তু পাশাপাশি, এটাও মনে রাখা দরকার যে, সম্পর্ক অকারণে ভাঙে না। কী ভাবে কাটিয়ে উঠবেন বিচ্ছেদের যন্ত্রণা?
১) পছন্দের কাজে মন দিন: জীবনে যে পরিস্থিতিই আসুক না কেন, মনকে শান্ত রাখতে হবে। তাই যে কাজ করতে ভাল লাগে, তাতে আরও বেশি করে সময় দিন। শরীরচর্চা করলে শুধু শরীর নয়, মনও ভাল থাকে। নিয়মিত ব্যায়াম বা প্রাণায়াম ‘হ্যাপি হরমোন’ ক্ষরণ বাড়িয়ে ক্ষতিকর কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়াও জুম্বা, যে কোনও ধরনের খেলাধূলা, ছবি আঁকা, বই পড়া, লেখালেখি যা করতে ভাল লগে, তা-ই করুন।
২) স্বাস্থ্যকর খাবার খান: মানসিক অবসাদ কাটাতে অনেকেরই মুখরোচক প্রক্রিয়াজাত খাবার খেয়ে ফেলার ঝোঁক বাড়ে। এমনকি, খাওয়ার সময়ে সম্পর্কেও কোনও হুঁশ থাকে না। যন্ত্রণা ভুলতে অনেকেই বেশি খেয়ে ফেলেন। অনিয়মিত এই জীবনযাপন শরীরের আরও ক্ষতি ডেকে আনে। বিচ্ছেদের কষ্ট সাময়িক। তা কাটিয়ে উঠে নিজেকে ভাল রাখতে চেষ্টা করুন।
৩) পর্যাপ্ত ঘুমোন: এমন পরিস্থিতিতে মন অশান্ত থাকাটাই স্বাভাবিক। দীর্ঘ দিনের অভ্যাস ছেড়ে অনেকেই আবার একাকিত্বে ভোগেন। উদ্বেগের কারণে রাতে ঘুমও আসতে চায় না। কিন্তু অপর্যাপ্ত ঘুম শারীরিক জটিলতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। যোগাসন করতে শুরু করতে পারেন। রাতে ঘুমোনোর সময়ে পছন্দের গান শুনুন।
৪) বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান: কঠিন সময়ে কাছের মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান। অবশ্য কাছের মানুষ মানেই তা পরিবারের কাউকে হতে হবে, এমন নয়। বিশ্বস্ত এমন এক জন মানুষ জীবনে থাকা প্রয়োজন, যার কাছে মনের সব কথা উজাড় করে বলা যায়। খুব ভাল হয়, যদি বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন। মন ও মেজাজ দুই-ই চাঙ্গা হবে।
১) মনোবিদের সাহায্য নিন: এমন একটি পরিস্থিতি একা একা সকলের পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব হয় না। বিচ্ছেদের পর মানসিক পরিবর্তন হয় সবচেয়ে বেশি। শরীর সারাতে যেমন চিকিৎসকের সাহায্য লাগে, তেমন মনের জটিল সমস্যা বা ক্ষতগুলি সারাতেও কিন্তু দক্ষ এক জন মানুষের প্রয়োজন হয়। তাই এই রকম সময়ে মনোবিদের সাহায্য নিয়ে, বিশেষ কিছু থেরাপির মধ্যে থাকাই ভাল। কাউকে মনের কথা উজাড় করে দিলে ভালই লাগবে।