সন্তানের অবান্তর জেদ, রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে আগে তার উৎস খুঁজে বার করতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
ঘুম থেকে উঠেই দুধ নয়, চিপ্স চাই। জলখাবারে ফল নয়, চকোলেট চাই। রাস্তায় বেরিয়ে আশপাশের দোকানে যা পাওয়া যায়, তা যদি পছন্দের তালিকায় থাকে তখনই সেটি কিনে দিতে হবে। না হলেই চিৎকার, কান্নাকাটি শুরু করে শিশু। একটু-আধটু নয়, তার দাপট এমন যে তার কান্নার আওয়াজ শুনে রাস্তাঘাটে লোকজন জমতে হতে শুরু করে। বেশির ভাগ সময়ে লোকলজ্জার খাতিরে তা দিয়ে দিতেই হয়। না হলে সকলের সামনে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। তবে এই অভ্যাস সাময়িক ভাবে সন্তানের রাগ, জেদ বশে আনতে পারলেও ভবিষ্যতের জন্য সমস্যার বীজ রোপন করে দেয়। মনোবিদেরা বলছেন, কোনও ক্ষেত্রে ঝামেলা এড়নোর জন্য শিশুদের তালে তাল মিলিয়ে চলেন মা-বাবারা। কিন্তু তাতে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। তার চেয়ে বরং রাগের উৎস খোঁজার চেষ্টা করা যেতে পারে। ছোট থেকেই তার সীমারেখা সম্পর্কে তাকে অবহিত করা যেতে পারে।
১) রাগের উৎস
সন্তানের অবান্তর জেদ, রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে আগে তার উৎস খুঁজে বার করতে হবে। সত্যিই এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে না কি শিশুর মধ্যে কোনও ভাবে অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিজ়অর্ডার বা এডিএইচডি-র মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তা বুঝতে হবে। সন্তানকে বাবা-মায়েরাই সবচেয়ে ভাল বুঝতে পারেন। একান্ত যদি সমস্যা হয়, সে ক্ষেত্রে পেশাদার কারও পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
২) কথা বলার ধরন
শুধু মা-বাবার সঙ্গেই নয়, বয়সে বড় সকলের সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করতে হবে, সেই পাঠ দিতে হবে অভিভাবককেই। সঙ্গে স্থান-কাল-পাত্রের গুরুত্বও বোঝাতে হবে। ইচ্ছে হলেও সব জায়গায়, সব কথা বলা যায় না। কৌতূহল হলেও প্রশ্ন করা যায় না— সেই সব বিষয়ে শেখাতে হবে ছোট থেকেই।
৩) আচরণবিধি
খারাপ ব্যবহার করে নিজের জেদ বজায় রাখা যাবে না। এই বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা যেন সন্তানের থাকে। মা-বাবার কাছ থেকে কিছু না পেলে সেই রাগ বাড়ির অন্য সদস্যের উপর দেখানোও যে গুরুতর অন্যায় তা বুঝিয়ে বলতে হবে।