‘রাঞ্ঝনা’ ছবিতে সোনম কপূরের চরিত্রকে পছন্দ করত ধনুশের চরিত্রটি।
সকাল সকাল স্কুলের ক্লাসরুমে ঢুকে বেঞ্চে বসা। ঘুম ঘুম চোখে এ দিক ও দিক চাউনি। বাড়ির বিছানাটার জন্য মন কাঁদছে প্রাণপণে— এমন সময় তার আবির্ভাব। বলিউড সিনেমার পোকা হলে চুল তখন হাওয়ায় উড়ছে, কানের কাছে বাজছে শাহরুখ খানের ছবির গান। সে ক্লাসে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে মনের মধ্যে কী রকম যেন হতে থাকে। নিজের ব্যাগটা নীচে ত়ড়িঘড়ি নীচে নামিয়ে রাখা যাতে সে এসে পাশে বসতে পারে। কিন্তু সে আর পাশে এসে বসল না, আর তাকে বসতে বলাও গেল না। এর পর সেই বলিউডের গান শুনেই মন খারাপ, একটা দু’টো কবিতা পড়া বা লেখা। কিন্তু এই করতে করতেই স্কুলজীবন শেষ হয়ে যাবে, আর কিছু বলা ওঠা যাবে না।
এ রকম পুরনো না-হওয়া প্রেমের গল্প প্রায় সকলেরই থাকে কমবেশি। স্কুল বা কলেজ জীবনের অন্য যে কোনও সময়ের এই কাউকে পছন্দ হয়ে যাওয়াগুলো অনেক সময়েই মনের কোণে লুকিয়ে থাকে। সেই মুখগুলি চোখের সামনে যখন নিয়মিত থাকে না, তখন তাঁদের প্রতি সেই অনুভূতির মাত্রাটা কমে যায় ঠিকই, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই পুরোপুরি শেষ হয়ে যায় না। বহু বছর আগে কাউকে পছন্দ ছিল, কিন্তু বলতে পারেননি। এখন তার সঙ্গে দেখা হলে আবার আগের কিছু অনুভূতি ফিরে আসা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু ইচ্ছে সত্ত্বেও কিঞ্চিত অস্বস্তি হতেই পারে কথা বলতে। তা হলেও কী ভাবে আবার তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন?
নেটমাধ্যমের সাহায্যে যোগাযোগ করুন
হারিয়ে যাওয়া অত্যন্ত পছন্দের মানুষকে খুঁজে পাওয়ার জন্য ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের থেকে বেশি ভাল বন্ধু খুব একটা কেউ নেই। একটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালেই অনেকটা কাজ হয়ে যায়।
বন্ধুর সাহায্য নিন
যদি আপনার একসঙ্গে স্কুলে বা কলেজে পড়ে থাকেন, তা হলে এমন কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকা স্বাভাবিক যাঁর সঙ্গে তাঁরও যোগাযোগ আছে। তাঁর সাহায্য চাইতে পারেন আলাপ করার জন্য।
মেসেজ করুন
মাঝে মধ্যে একটা ছোট সহজ মেসেজ থেকেই অনেক কথা শুরু হয়ে যেতে পারে। তাই বাড়তি চিন্তাভাবনা না করে সাহস করে একটা মেসেজ পাঠিয়েই দিন তাঁকে।
তাঁর পছন্দ অপছন্দের কথা জানার চেষ্টা করুন
সেই মানুষটা এখন কাদের সঙ্গে কথা বলেন, বা কী রকম জীবনযাপন করেন, তার একটা ধারণা করার জন্য নেটমাধ্যমে তাঁর প্রোফাইলে চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন। আপনি তাঁকে চিনতেন কয়েক বছর আগে। এখন তিনি কী রকম কাজ করেন, কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন, জেনে নেওয়া ভাল। তাঁর কী রকম ছবি পছন্দ, কী রকম গান শুনতে তিনি ভালবাসেন, এই সব জিনিস জানা থাকলে সেই মানুষটার ব্যাপারে একটা ধারণাও হবে। কথা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও আপনার সুবিধা হবে।
তাড়াহুড়ো করবেন না
আপনার একে অপরকে চিনতেন বেশ কয়েক বছর আগে। তাঁর মধ্যে অনেক সময় পেরিয়ে গিয়েছে, আপনার জীবনেও অনেক বদল এসেছে। ঘনিষ্ঠ হওয়ার আগে নিজেদের সময় দিন। তাড়াহুড়ো করবেন না। বলিউডের প্রেমকাহিনি দেখে বড় হওয়া আপনার মন একটা ছোট্ট বার্তা পেয়ে পুলকিত হয়ে উঠতেই পারে। কিন্তু সচরাচর কারও সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে একটা নির্দিষ্ট সময় জুড়ে যোগাযোগ থাকা গুরুত্বপূর্ণ।