বিয়ে যে টিকবে না, তা কোন লক্ষণ বলে দেবে? ছবি: শাটারস্টক
বিভিন্ন সম্পর্কে নানা মোড় আসে। কখনও টানাপড়েন বাড়ে, কখনও ঝগড়াও হয়। তবে দাম্পত্যে যদি কলহ বাধে, সঙ্কটও বেশি হয়। আর তাই অন্য সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার থেকেও বিয়ে ভাঙা নিয়ে বেশি চিন্তায় থাকেন কেউ কেউ। এই ভাবনার ভাল-মন্দ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বিস্তর। তা চলতেও থাকবে। কিন্তু সে সবের মধ্যেই খেয়াল রাখা দরকার যে, নিজের বিয়ে ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা জানতে হবে। কৌশল থাকে অনেক রকম। কিন্তু সচেতন ভাবে খেয়াল করলে তিনটি লক্ষণ বলে দিতে পারে দাম্পত্যের স্বাস্থ্য কেমন আছে। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে কি না, তা-ও বোঝা যাবে এই লক্ষণগুলি দেখে।
১) একে-অপরকে সম্মান করতে পারেন না কি? ঘরে এবং বাইরে, একসঙ্গে কোনও কাজ করতে গেলেই সঙ্গীর কাছে অসম্মানিত হচ্ছেন? এ নিয়ে তবে ভাবা দরকার। সব সময়ে খুব বড় কোনও ঘটনা নয়, ছোট কিছুতেও বোঝা যায় পরিস্থিতি। আত্মসম্মান বজায় রাখা ভীষণ জরুরি, যদি একে অপরকে সম্মান দিতে না পারেন, তা হলে কিন্তু সেই সম্পর্ক বেশি দিন টিকবে না।
২) ঝগড়া, আড্ডা সব থেমে গেলেও তা সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার লক্ষণ। হয়তো একটি সময় পর্যন্ত নিজেরা অনেক গল্প করতেন। কিন্তু এখন আর কথা বলার মতো কিছু পান না। একে অপরের কোনও কাজ পছন্দ না হলেও বলতে ইচ্ছা করে না। সবই সম্পর্ক শেষ হয়ে যাওয়ার লক্ষণ।
৩) একে অপরের প্রতি বিশ্বাসই সম্পর্কের ভিত মজবুত করে। দাম্পত্যে সন্দেহ ঠাঁই না পাওয়াই শ্রেয়। একে অপরকে ভরসা করতে না পারা, সন্দেহ করা মোটেই ভাল লক্ষণ নয়। সন্দেহ থেকেই বিবাদ বাড়ে। দাম্পত্যে এমন পরিস্থিতি এলেও সতর্ক হোন।
৪) একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে ভাল লাগে না? ঝগড়া হলেই কি তা একে অপরের নিন্দার দিকে চলে যায়? ঝগড়ার মাথায় কথায় কথায় একে অপরকে ছোট করেন কেউ কেউ, এই সব ছোট ছোট লক্ষণ হলেও উপেক্ষা করবেন না। সম্পর্ক অবনতির লক্ষণ দেখলেই একে অপরকে সময় দিন। সম্পর্ককে নতুন করে সুযোগ দিন।