পেশায় কেশশিল্পী ওই তরুণী জার্মানির হালবারস্টডের বাসিন্দা ছিলেন। ছবি: সংগৃহীত
ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে লিঙ্গে মাখিয়ে নিয়েছিলেন কোকেন। সেই অবস্থাতেই প্রেমিকার সঙ্গে লিপ্ত হন মুখসঙ্গমে। মাদক শরীরে প্রবেশ করার ফলে মৃত্যু হয় প্রেমিকার। এমনই অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন জার্মানির এক চিকিৎসক। ৪৬ বছর বয়সি ওই চিকিৎসকের নাম, আন্ড্রেয়াস নিডরবিকলর। ২০১৮ সালে প্রেমিকা ইয়োভোনি এমকে হত্যার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে সাজা শোনাল জার্মানির এক আদালত।
পেশায় কেশশিল্পী ওই তরুণী জার্মানির হালবারস্টডের বাসিন্দা ছিলেন। আদালতে আন্ড্রেয়াসের আইনজীবী জানান, দীর্ঘ দিন ধরেই ৩৮ বছর বয়সি ইয়োভোনির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আন্ড্রেয়াসের। ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি, ইয়োভোনির বাড়িতেই মিলিত হন দু’জনে। অভিযোগ, মুখসঙ্গমের সময় আন্ড্রেয়াস নিজের লিঙ্গে কোকেন মাখিয়ে নেন। আর সেই কোকেন মুখে যেতেই অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েন ইয়োভানি। পরে মৃত্যু হয় তাঁর।
চিকিৎসকের আইনজীবী কোর্টে দাবি করেন, ইয়োভানি সব জেনেশুনেই ওই কাজে লিপ্ত হন। কিন্তু সেই যুক্তি ধোপে টেকেনি। জার্মানির ম্যাগডিবার্গের একটি আদালত জানাল, এই ঘটনা প্রথম নয়, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে আরও অন্তত তিন জন মহিলাকে মাদক খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। কখনও লিপস্টিক, কখনও মদের গ্লাস কখনও বা দাঁত মাজার পেস্টে মাদক মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই, তাঁকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ বার প্রায় দশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল তাঁকে। মৃতার চিকিৎসাবাবদ এই খরচ হয়েছিল এই টাকা। তাই যে জীবনবীমা সংস্থা সেই টাকা দিয়েছিল, সেই সংস্থাকেই দিতে হবে টাকা, নির্দেশ আদালতের।