Emotional Story

অন্ধত্বের পথে হাঁটছে চার সন্তান, দৃষ্টি চলে যাওয়ার আগে বিশ্বভ্রমণে নিয়ে গেলেন মা-বাবা

চার সন্তান চোখের বিরল রোগ ‘রেটিনাইটিস পিগমেন্টোসা’-য় ভুগছে। সারা জীবনের মতো দৃষ্টিশক্তি চলে যাওয়ার আগে, তাদের পৃথিবী ঘুরিয়ে দেখাতে চাইলেন বাবা-মা। চার সন্তানকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন বিশ্বভ্রমণে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
কানাডা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:০০
মিয়া ছাড়াও ওই দম্পতির তিন ছেলে রয়েছে।

মিয়া ছাড়াও ওই দম্পতির তিন ছেলে রয়েছে। ছবি- সংগৃহীত

এডিথ লেমে এবং সেবাস্টিয়ান পেলেটার। কানাডা নিবাসী এই দম্পতির চার সন্তান। চার জনেই চোখের বিরল এক রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি হারাবে চার জনেই। সন্তানদের দৃষ্টিশক্তি চলে যাওয়ার আগে তাদের পৃথিবী ঘুরে দেখাতে বিশ্বভ্রমণে বেরোলেন বাবা-মা।

Advertisement

ওই দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে মিয়া বড় । মিয়ার তিন বছর বয়সে এডিথ এবং সেবাস্টিয়ান প্রথম লক্ষ করেন তার চোখে কোনও সমস্যা হচ্ছে। স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে না। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে জানতে পারেন, মিয়া ‘রেটিনাইটিস পিগমেন্টোসা’ নামক একটি রোগে ভুগছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হতে থাকে এই রোগে। চোখের সমস্যা নিয়েই বড় হচ্ছিল মিয়া।

মিয়া ছাড়াও ওই দম্পতির তিন ছেলে রয়েছে। জন্মের কয়েক বছর পর থেকে তাদের চোখেও একই রকম উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। ২০১৯ সালে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, চার জনেই চোখের একই রোগে আক্রান্ত। ‘রেটিনাইটিস পিগমেন্টোসা’ সাধারণত বংশগত একটি রোগ। পরিবারে কারও থাকলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

চোখের এই জটিল এবং বিরলতম রোগের কোনও চিকিৎসা এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। এর ফলে একটা বয়সের পর আক্রান্তের দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি চলে যায়। সন্তানেরা যাতে পৃথিবীর সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত না হয়, তাই সময় থাকতেই তাদের নিয়ে বিশ্বভ্রমণ সেরে নিতে চান ওই দম্পতি।

দু’বছর আগে থেকেই বিশ্বভ্রমণের প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু অতিমারির কারণে অন্য দেশে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। পরিস্থিতি স্থিতিশীল হতেই চলতি বছরের মার্চ মাসে, কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই বেরিয়ে পড়েন। নাম্বিয়া থেকে সফর শুরু করেন তাঁরা। তার পর জাম্বিয়া, তানজানিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, আফ্রিকা ঘুরে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। ওই দম্পতির মতে, এই সফর থেকে সন্তানদের মনে একটা সুন্দর স্মৃতি তৈরি হবে। সেই সঙ্গে এই সফর তাদের মানসিক বিকাশেও সাহায্য করবে।

আরও পড়ুন
Advertisement