রূপান্তরকামী শিশুর পাশে বাবা-মা।
আমাদের দেশে অবশ্য শিশুর জন্মের আগে তার লিঙ্গ পরিচয় জানা আইনি অপরাধ। তবে বিদেশে এমনটা নয়। শিশুর জন্মের আগেই বাবা-মা জানতে পারেন তাঁদের শিশুর লিঙ্গ পরিচয়। তার পরে পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-পরিজনদের নিয়ে বিশাল অনুষ্ঠান করে তাঁদেরও জানানো হয়।
এ বার কানাডার এক দম্পতি তাঁদের ৮ বছরের খুদের লিঙ্গ পরিচয় ঘোষণ করলেন ধুমধাম করে উদ্যাপন করে। ভাবছেন তো, এমনটা কেন করলেন? ছ’বছর বয়সে তাঁদের ছেলে জানায়, সে যে ছেলে, তা ভিতর থেকে সে অনুভব করে না! অন্টারিয়োর এলা স্কট যখন তার বাবা-মা, নিকি এবং গ্রাহামকে জানায় যে সে নিজেকে ছেলের মতো মনে করে না, তখন তার অবিভাবকরা প্রাথমিক ভাবে ভেবেছিলেন যে, তার হয়তো হরমোনাল কিছু সমস্যা হচ্ছে। তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঠিক হয়ে যাবে। তবে কিছু দিনেই তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন যে, ব্যাপারটা তা নয়।
নিকি জানান, ‘‘ছোট থেকেই এলা আর পাঁচ জন ছেলের থেকে আলাদা। সে মেয়েদের সঙ্গে পুতুল নিয়ে খেলতে ভালবাসে। এলা নিজের দাদাদের সঙ্গে খেলতে কখনওই পছন্দ করত না। ছ’বছর বয়স থেকেই আমার ছেলে মেয়েদের পোশাক পরতে শুরু করে। আমিও মেনে নিলাম। ভাবলাম ক্ষণিকের শখ বুঝি!’’
নিকি আরও বলেন, ‘‘তবে জিনিসটা যখন বাড়তে লাগল, তখন আমাদের মনে সন্দেহ হল। আমরা এলাকে রূপান্তরকামীদের বই পড়াতে শুরু করলাম। ছোট্ট এলা বুঝতে পারল যে সে আদতে নিজেকে মেয়ে মনে করতেই ভালবাসে।’’
নিকি ও গ্রাহম ছেলেকে নিয়ে মনোবিদের কাছে গেলেন। মনোবিদও বুঝলেন এলার মনের পরিস্থিতি। নিকি ও গ্রাহম স্থির করলেন, তাঁদের শিশুটি যে মন থেকে মেয়ে, তা সকলকে জানানোর সময় এসেছে। মেয়েদের পোশাক ও লম্বা চুল নিয়ে সকলের সামনে নতুন পরিচয় পেল এলা। এলার রূপান্তরকামী পরিচয় জানাতেই পার্টির আয়োজন করলেন বাবা-মা। ডাকলেন পরিজনদের।