অভিনেতা শাহিদ কপূরের সঙ্গে জায়া মীরা রাজপুত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
একসঙ্গে জীবন শুরু করার আগে মনে নানা ধরনের প্রশ্ন আসে। উত্তরের সন্ধানে অনেকে মনোবিদের কাছে যান। বিবাহিত বন্ধু বা পরিবারের কারও কাছে এ বিষয়ে পরামর্শ নেন। এ বিষয়ে প্রত্যেকেরই নিজস্ব মতামত রয়েছে। সকলের জীবনদর্শন এক নয়। তাই অন্যের দেখানো পথ ধরে এগোলেই যে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছনো যাবে, তা হলফ করে বলা যায় না।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলিউড অভিনেতা শাহিদ কপূরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ‘আদর্শ বিয়ে’ সম্পর্কে তাঁর ধারণা ঠিক কী। উত্তরে অভিনেতা বলেন, “এ পৃথিবীতে আদর্শ বিয়ে বলে কিছু নেই। তার জন্য আগে থেকে নির্ধারিত কোনও নিয়ম কেউ তৈরি করে যাননি। যৌথযাপনে পারস্পরিক বোঝাপড়া, শ্রদ্ধা এবং মানিয়ে নেওয়া ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমি উল্টো দিকের মানুষটির ভালমন্দ নিয়ে ভাবব, আর উল্টো দিকের মানুষটিও যদি আমার ভালমন্দ নিয়ে ভাববে। আমার কাছে এটাই আদর্শ বিয়ে।” শুধু বিয়ে নয়, শাহিদের মতে যে কোনও সম্পর্কেই বোঝাপড়ার ভিতটা মজবুত হওয়া প্রয়োজন। তবেই তাকে ‘পারফেক্ট’ বা আদর্শ বলা চলে। এ বিষয়ে কারও পরামর্শ নয়, বরং ‘ফার্স্ট হ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স’ বা ঠেকে শেখা নিজের অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে বেশি কাজের।
দু’টি ভিন্ন পরিবার থেকে আসা, দু’টি সম্পূর্ণ আলাদা মানুষ হঠাৎ একসঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকতে শুরু করলে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। দীর্ঘ দিনের পরিচিতি থাকলেও মতের অমিল হবে, সেটাই স্বাভাবিক। তবে জানতে হবে কী ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। এ প্রসঙ্গে শাহিদের মত, “ধৈর্য এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকলে এই সমস্ত ছোটখাটো বিষয় খুব সহজেই উতরে যাওয়া যায়। তবে তার জন্য ওই দু’টি মানুষকে সমান উদ্যোগী হতে হবে। মতপার্থক্য আছে জেনেও কিছু কিছু জিনিস ছেড়ে দিতে হবে। তবেই সম্পর্ক উপভোগ্য হয়ে উঠবে।”
যদিও সব সম্পর্কের সমীকরণ এক রকম নয়। সুন্দর, গোলাপের পাপড়ি ছড়ানো পথ ধরে সকলের জীবন প্রবাহিত হয় না। তবে অভিজ্ঞতা এবং নিজের বিচারবোধ দিয়ে অনেক দুর্গম পরিস্থিতি অতিক্রম করা যায়। মনোবিদেরা বলছেন, একসঙ্গে থাকার ইচ্ছে, আগ্রহ থাকলে দু’জনকে অনবরত সেই সূত্র সন্ধান করে যেতে হবে।