পোষ্য বিড়ালের যত্ন নেবেন কী ভাবে। ছবি: ফ্রিপিক।
দিনভর কাজের শেষে বাড়ি ফিরে যখন দেখেন প্রিয় পোষ্যটি দরজার সামনে লেজ নাড়ছে, মন ভাল হয়ে যায়। আবার রাতবিরেতে মনখারাপ হলে কোলের কাছে যখন টেনে নেন নরম তুলোর মতো বিড়াল শাবকটিকে, মনখারাপ সঙ্গে সঙ্গে উধাও। বাড়িতে পোষ্য থাকা মানে মনও ভাল হয়ে যাওয়া। তবে পোষ্য রাখা মানে তার দায়িত্বও বেড়ে যায় কয়েকগুণ। বিশেষ করে বিড়াল পুষলে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতেই হয়।
বিড়াল পোষার শখ হলে কী কী বিষয় জেনে রাখা জরুরি?
১) বিড়ালের খাওয়ার বাটি নিয়মিত পরিষ্কার করুন। সবসময় বাটিতে জল রাখুন। বিড়াল তার পছন্দের খাবারই খায়। দেখবেন পছন্দের খাবারই বার বার খেতে চাইছে। তবে জল খাওয়াতে হবে নিয়ম করে।
২) অনেকেই বাড়ির পোষ্য বিড়ালকে গরুর দুধ খাওয়ান। নিজেদের খাওয়ার জন্য যে দুধ আসে, তার থেকেই ভাগ দেন পোষ্যকে। কিন্তু জানেন কি, এই দুধ বিড়ালের ক্ষতি করতে পারে? দীর্ঘ দিন ওই জাতীয় দুধ খেতে খেতে ওদের পেটের সমস্যা দেখা দেয়। তাই ল্যাক্টোজ ছাড়া দুধই বিড়ালকে দেওয়া উচিত।
৩) অনেকেই রাস্তা থেকে কুড়িয়ে বিড়াল শাবক নিয়ে আসেন বাড়িতে। প্রথমেই শাবকটিকে ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যান কোনও পশু চিকিৎসকের কাছে। তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী দিতে হবে কৃমির ওষুধ।
৪) দেড় থেকে দু’মাস বয়স হলে শাবকটিকে আবার কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। সময়ান্তরে বিড়ালের জন্য নির্দিষ্ট টিকাও দিতে হবে।
৫) বিড়াল কী খাবে তা পশু চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল। শাবক অবস্থায় থাকলে তাকে ভাত ও মাছ সেদ্ধ করে মেখে দিতে পারেন। তবে মাছের কাঁটা ছাড়িয়ে দেবেন। এখন বাজারে নানা প্যাকেটজাত খাবার পাওয়া যায়। পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তা-ও দিতে পারেন। এখন বাজারে নানা প্যাকেটজাত খাবার পাওয়া যায়।
৬) বিড়ালরা মলমূত্র ত্যাগ করে মাটি বা বালি চাপা দেয়। যদি আপনি ফ্ল্যাটের বাসিন্দা হন, তাহলে পোষ্যর জন্য অবশ্যই কিনতে হবে মল-মূত্র ত্যাগ করার পাত্র বা স্যান্ড বেড। এই জাতীয় পাত্রে বালি দেওয়া থাকে। এতে বিড়ালদের সুবিধা হবে। এমন পাত্র মিলবে যে কোনও পোষ্যর দোকানে। বাড়িতেও রাখতে পারেন লিটার বক্স। প্রত্যেক দিন তা পরিষ্কার করতে হবে।
৭) পোষ্যের ঘুমনোর জন্য আলাদা বিছানা তৈরি করুন। নিয়মিত তা পরিষ্কারও রাখুন।
৮) পোষ্য সামনে থাকলে কখনও চড়া গন্ধের বডি স্প্রে ব্যবহার না করাই ভাল। এতে ওদের কষ্ট হয়।
৯) পোষ্য দুর্বল হয়ে পড়ছে কি না খেয়াল রাখতে হবে। সে জন্য মাঝেমধ্যেই পশু চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চেকআপ করাতে হবে।
১০) নতুন জায়গায় এলে বিড়ালের সেই পরিবেশ মানিয়ে নিতে একটু সমস্যা হয়। সবসময় তাকে সঙ্গ দিতে হবে। খেলাধুলা করানোর চেষ্টা করবেন। দেখবেন ধীরে ধীরে সে বন্ধু হয়ে উঠবে।