ছাত্রজীবনে কিছু অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
পড়াশোনায় সফল হওয়ার জন্য শৃঙ্খলাবদ্ধ হওয়া অত্যন্ত জরুরি। তা না হলে পরিশ্রমও বিফলে যায়। পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করতে পড়াশোনা করার কোনও বিকল্প নেই। তবে বইয়ে মুখে গুঁজে থাকা পরীক্ষার একমাত্র প্রস্তুতি নয়। অজান্তেই কিছু অভ্যাসে দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে জুড়ে যায়। যে অভ্যাস ছাত্রাবস্থায় থাকা উচিত নয়। তাতে পড়াশোনার ক্ষতি হতে পারে। তাই অভ্যাসগুলি ছাড়তে হবে।
অগোছালো
পড়াশোনার ক্ষেত্রে গোছানো হওয়াটা খুব জরুরি। চারিদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বইখাতার মাঝে পড়তে বসলে মন অশান্ত হয়ে উঠতে পারে। মনোযোগও কমে যাবে। পড়াশোনা করার জায়গা সব সময় গোছানো হওয়া জরুরি।
পড়তে বসে অন্য কাজ
মাল্টিটাস্কার হওয়া ভাল। তবে পড়তে বসে এই দক্ষতার প্রয়োগ না করাই শ্রেয়। তাতে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে। পড়াশোনার ক্ষেত্রে একটু মনোযোগী হওয়া জরুরি। পড়তে বসে অন্য কাজে মন দিলে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে।
পরীক্ষার আগে পড়তে বসা
সারা বছর বইখাতার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু পরীক্ষার আগে সারা ক্ষণ বই-খাতায় মুখ গুঁজে থাকার অভ্যাস একেবারেই ভাল নয়। তাতে হয়তো কোনও মতে পরীক্ষায় উতরে যাওয়া যায়, কিন্তু পাঠ্য বইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় না। জ্ঞানেরও ঘাটতি থাকে।
অবাস্তব লক্ষ্য
নিজের ক্ষমতার বিষয়ে অবগত থাকতে হবে। তা না হলে লক্ষ্য তৈরি করা যাবে না। নিজের দক্ষতা অনুযায়ী ছোট ছোট লক্ষ্যে এগোতে হবে। প্রতিটি ধাপ আগে থেকেই ছকে রাখতে হবে। একটু রুটিন মেনে জীবনে চললে, লক্ষ্যে পৌঁছনো সহজ হবে।
কম ঘুমোনো
ঘুমোনো মানে সময় নষ্ট। কমবয়সে অনেকেই এই ধারণা বাস করে। পড়াশোনায় সফল হওয়ার জন্য শারীরিক ভাবেও সুস্থ থাকতে হবে। শরীর ফিট না থাকলে পড়াশোনার যে পরিশ্রম করতে হয়, ততটুকু করা সম্ভব হবে না।