৩০ পেরিয়েও কি আপনি একা? ছবি: সংগৃহীত
স্কুল-কলেজ-কেরিয়ারের শুরু— সবই সময় মতো হল। কিন্তু এখনও মনের মতো সঙ্গীর অভাবে কোনও পাকা সম্পর্ক তৈরি হল না? বয়স ৩০ পেরিয়ে গেল। অনেক বন্ধুবান্ধব বিয়ে সেরে ফেলল। কেউ কেউ প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর আপনি একাই জীবন কাটাচ্ছেন? শুনতে যতটা করুণ লাগছে, তার চেয়ে আপনার পরিস্থিতি কিন্তু অনেকের তুলনায় বেশি ভাল। তাই বন্ধুদের দেখে দুঃখ না করে জেনে নিন ৩০ বছর সঙ্গীহীন থাকার সুবিধা কোনগুলি।
১। ৩০ পেরনোর পর আপনি অনেক বেশি পরিণত। এরপর যা-ই সিদ্ধান্ত নেবেন, ভেবেচিন্তে ঠান্ডা মাথাতেই নেবেন। ২৪-২৫ বছরের তুলনায় সেই সিদ্ধান্তগুলি অনেক ভাল হবে। সব দিক বিবেচনা করে নেওয়া হবে। তাই আফশোস হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকবে।
২। আগের চাইতে আপনার আর্থিক অবস্থা একটু হলেও ভাল। অনেক কিছু হয়তো এত দিনে গুছিয়ে নিতে পেরেছেন। তাই এ বার কোনও নতুন সম্পর্ক শুরু হলে সেটায় বেশি মনোযোগ দিতে পারবেন। কিংবা কোনও সিদ্ধান্ত আর্থিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে নিতে হবে না।
৩। ২৪-২৫ বছরে কোনও সম্পর্ক হলে মানুষ তাতে এতটাই জড়িয়ে পড়েন, যে পরিবার বা বন্ধুবান্ধবদের অবহেলা করেন। কিন্তু ৩০ বছর পেরিয়ে গেলে অনেকেই বুঝতে শেখেন কোন বন্ধুরা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কিংবা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো কতটা জরুরি। তাই জীবনের এই অধ্যায় এসে কোনও সম্পর্ক শুরু করলে, প্রথম থেকেই দু’জনে বুঝতে শিখবেন, জীবনের কোন বিষয়ের মূল্য কতটা।
৪। ৩০ বছরের পর সকলেই নিজেকে গুরুত্ব দিতে শেখেন। নিজের সঙ্গে সময় কাটানো উপভোগ করেন। এবং অন্যজনও সেটা চাইলে, সম্পর্কে সেই জায়গাটা ছেড়ে দিতে শেখেন। তাই ঝগড়া-মনোমালিন্য-ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।
৫। কোনটা আলগা প্রেম, কোনটা গভীর ভালবাসা সেই ফারাক করার মতো পরিণত বুদ্ধি বয়সের সঙ্গে সকলেই মধ্যেই চলে আসে। তাই নতুন সম্পর্ক শুরু হলে, তা ভেবেচিন্তেই শুরু হয়। আরও একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায় শুরু থেকে। তিন-চারটে ডেটে যাওয়া মানেই যে গভীর সম্পর্ক শুরু হয়ে গেল,তা যে নয়, তা সকলেই বুঝতে শেখেন। অন্যদের বক্তব্যের উপর নির্ভর করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না একটা বয়সের পর। নিজের ভাল-মন্দ নিজেই বুঝতে শেখেন সকলে।
৬। কার সঙ্গে আপনার মনের মিল হবে, কার সঙ্গে হবে না, তা বুঝে নেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা এত দিনে আপনার হয়ে গিয়েছে। তার চেয়েও বড় কথা, একজন মানুষের মধ্যে কোনও লক্ষণগুলি দেখলে, আর না এগনো ভাল, সেটা বোঝার মতো ক্ষমতা ২২-২৩ বছরে কারও থাকে না। বরং ৩০ বছরে সেগুলি বোঝার সুযোগ অনেক বেশি। তাই সময় নষ্ট হওয়ার ভয় নেই।
৭। যৌনতা নিয়ে একটা স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হয়ে যায় এত দিনে। তাই কোনও রকম অপ্রিয় অভিজ্ঞতা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। কে কী চান, তা নিয়ে অনেক বেশি খোলামেলা আলোচনা হতে পারে।