আগে মনে করা হত গানের ছন্দে তাল মিলিয়ে মাথা নাড়াতে কেবল মানুষই পারে, তবে এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই ক্ষমতা ইঁদুরদেরও আছে। ছবি: শাটারস্টক
লেডি গাগা, মোৎজা়র্ট কিংবা 'কুইন' ব্যান্ডের সুর-ছন্দে মন নিজে থেকেই নেচে ওঠে! সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে এই সব সুরে কেবল মানুষই নয়, ইঁদুররাও উৎসাহী হয়ে নাচতে শুরু করে। মশকরা নয়। একেবারেই সত্যি কথা।
টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ১০টি ইঁদুরকে নিয়ে গবেষণাটি করেছেন। ইঁদুরগুলির গায়ে বেতার অ্যাক্সিলোমিটার লাগানো হয়েছিল তারা গানের তালে কী ভাবে আর কত বার মাথা নাড়ায় তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য। 'সায়েন্স অ্যাডভান্সেস' নামক জার্নালে প্রকাশিত হয় গবেষণাটি। আগে মনে করা হত, গানের ছন্দে তাল মিলিয়ে মাথা নাড়াতে কেবল মানুষই পারে। তবে এই গবেষণায় দেখা গেছে, এই ক্ষমতা ইঁদুরদেরও আছে।
লেডি গাগার ‘বর্ন দিস ওয়ে’, 'কুইন' ব্যান্ডের ‘অ্যানাদার ওয়ান বাইটস্ দ্য ডাস্ট’ এবং মোৎজার্টের একটি পিয়ানো সোনাটা, মাইকেল জ্যাকসনের ‘বিট ইট’ এবং ;মেরুন ফাইভ'-এর ‘সুগার’ ইত্যাদি গান ও সুর এই গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হয়।
— vid_tele (@vid_tele) November 11, 2022
প্রতি মিনিটে ১২০ থেকে ১৪০টি বিটের সঙ্গে মানুষ মানুষের মস্তিষ্ক তাল মেলাতে পারে। সঙ্গীতে প্রায়শই এমন বিট ব্যবহৃত হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ইঁদুররা মানুষের মতো প্রতি মিনিটেই ১৩২টি বিটের সঙ্গে তাল মেলাতে সক্ষম হয়েছে।এ ক্ষেত্রে তাদের কোনও রকম বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। কিন্তু সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, যখন গানের লয় ধীর হয়ে যায় বা গতি বাড়ে, তখন তারা তুলনামূলক ভাবে কম সাড়া দেয়।
ইঁদুরের মতো ছোট প্রাণী দ্রুততম লয়ে মানুষের থেকেও বেশি সাড়া দিতে পারে কি না, তা নির্ধারণ করতেই বিজ্ঞানীরা পরীক্ষাটি করেছিলেন।