Rani Kukherjee’s Fitness Routine

প্রতি দিন ১০০টি করে সূর্য নমস্কার, ভাত বাদ, রানির ফিটনেস রুটিনের রহস্য জানালেন প্রশিক্ষক

নির্মেদ ও টোনড চেহারা পেতে কী কী করতেন রানি মুখোপাধ্যায়? কেমন ছিল তাঁর ডায়েট? কী ভাবে শরীরচর্চা করতেন তিনি?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫ ১৮:৩৭
Rani Mukherjee avoided carbs to achieve toned figure, what was her diet

রানির ফিটনেস রুটিন কেমন? ছবি: সংগৃহীত।

‘আইয়া’ (২০১২) ছবির সময় থেকেই কঠিন ডায়েট শুরু করেছিলেন রানি মুখোপাধ্যায়। ছবিতে তাঁর নৃত্যশৈলী ও চেহারার গড়ন মুগ্ধ করেছিল সকলকে। রানির নির্মেদ চেহারা নিয়ে চর্চাও কম হয়নি। অভিনেত্রীর ফিটনেট প্রশিক্ষক সত্যজিৎ চৌরাসিয়া জানিয়েছেন, কী ভাবে কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা এমন চেহারা তৈরি করেছিলেন রানি। কী ভাবে শরীরচর্চা করতেন তিনি, ডায়েট কেমন ছিল, সে রহস্যও ফাঁস করেছেন।

Advertisement

রানির দিন শুরু হত যোগাসন দিয়ে। নানা রকম আসনের পাশাপাশি কার্ডিয়ো করতেন নিয়ম মেনে। অন্তত ঘণ্টা দুয়েক সময় দিতেন শরীরচর্চার জন্য। প্রতি দিন নিয়ম করে ৫০ থেকে ১০০টি সূর্য নমস্কার করতেন রানি। তাঁর প্রশিক্ষক জানাচ্ছেন, ভোরের দিকে এই আসন করলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। যদি খোলা জায়গায় প্রকৃতির মাঝে সূর্য নমস্কার করা যায়, তা হলে শরীরের অনেক রোগব্যধি দূরে থাকে। বিশুদ্ধ অক্সিজেন মন ও মস্তিষ্ককেও তরতাজা রাখে। খুব দ্রুত মেদ ঝরাতে পারে এই আসন। তাড়াতাড়ি নির্মেদ চেহারা পেতে হলে, এই আসনই সবচেয়ে বেশি উপযোগী।

শরীরচর্চা কেবল নয়, খাওয়াদাওয়াতেও রাশ টেনেছিলেন রানি। বাঙালি কন্যে তাঁর ডায়েট থেকে ভাত একেবারেই বাদ দেন। ময়দা ছুঁয়েও দেখতেন না। চা-কফি একেবারেই বাদ দিয়েছিলেন। সকালে খেতেন ৬০ মিলিলিটারের মতো অ্যালো ভেরা জুস। তার পরে এক বাটি পেঁপে-আপেল। এর পরেই ঘণ্টা দুয়েকের জন্য শরীরচর্চা। প্রাতরাশে ওট্‌স আর ক্রিম ছাড়া দুধ। চিনি বা গুড় কোনওটিই খেতেন না।

দুপুরে মাল্টিগ্রেন আটার দু'টি রুটি শুধু ডাল দিয়েই খেতেন। ভাত একেবারেই খেতেন না। বিকেলে মাল্টিগ্রেন পাউরুটির সঙ্গে অঙ্কুরিত ছোলা ও দুটি ডিমের সাদা অংশ। রাতে একটি রুটি ও গ্রিলড সব্জি। কখনও তন্দুরি ফিশ। মিষ্টি দই ও চকোলেট খুবই প্রিয় তাঁর। কিন্তু ওজন ধরে রাখতে সেই সবই নাকি একেবারেই ছেঁটে ফেলেছেন তিনি।

রানির প্রশিক্ষক জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে হলে শরীরচর্চার পাশাপাশি ডায়েটেও নজর দিতে হবে। কার্বোহাইড্রেট একেবারেই কমিয়ে দিতে হবে। প্রোটিন ও ফাইবার খেতে হবে বেশি করে। সেই সঙ্গে দিনে ২-৩ লিটার জল পান করতেই হবে। পর্যাপ্ত ঘুমও জরুরি।

Advertisement
আরও পড়ুন