মুখ দিয়ে জল ছোড়ে, এই মাছের আর কী বিশেষত্ব? ছবি: সংগৃহীত।
অ্যাকোয়ারিয়াম শুধু মাছ রাখার জায়গা নয়, কারও কাছে তার চেয়েও বেশি কিছু। জলের নীচের জগৎ, নিজের হাতে সেই অ্যাকোয়ারিয়াম সাজানো, নির্দিষ্ট বাস্তুতন্ত্র বুঝে মাছ রাখা— এ সবে আনন্দ খুঁজে পান অনেকেই। তাঁদের কাছে এ-ও যেন এক সৃষ্টি, নেশা, ভাললাগা।
অ্যাকোয়ারিয়ামের জন্য অনেকেই গড়পড়তা মাছ নয়, বরং খোঁজেন অন্য রকম কিছু। এমন শখ থাকলে বেছে নিন আর্চার মাছ। দেখতে যে ভীষণ সুন্দর, রংচঙে, তা নয়। তবে এর বৈশিষ্ট্য হল মুখ দিয়ে জল ছোড়া। প্রচণ্ড গতিতে মুখ দিয়ে জল ছুড়তে পারে আর্চার বা ‘ধনুর্বিদ’ মাছ। সে কারণেই তার এমন নামকরণ।
অনেকেই বলেন, বিভিন্ন গবেষণাতেও উঠে এসেছে এই মাছ নাকি লোকজনের মুখ মনে রাখতে পারে। মূলত শিকার ধরার জন্যই মাছটি জল ছোড়ে। জলের গতিতে ঘায়েল হয় ছোট পোকামাকড়।
এই মাছ রাখতে গেলে অ্যাকোয়ারিয়ামের পরিবেশ কেমন হবে?
১। আর্চার মাছ সমুদ্রের মতো লবণাক্ত জল বা পুকুরের মিষ্টি জল, কোনওটিতেই থাকতে পারে না। এই মাছের জন্য প্রয়োজন তার মাঝামাঝি জল। যা হালকা লবণাক্ত হবে।
২। এই মাছের জন্য বড় অ্যাকোয়ারিয়াম দরকার। দৈর্ঘ্যে ৫ ফুট, প্রস্থ এবং উচ্চতায় ২ ফুটের অ্যাকোয়ারিয়াম প্রয়োজন। কিংবা ৭৫ গ্যালন জল ধরে, এমন অ্যাকোয়ারিয়াম দরকার।
৩। ২২ ডিগ্রি থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এই ধরনের মাছের জন্য আদর্শ।
৪। খাওয়ার বিষয়টা বেশ আলাদা। এই মাছ মুখ দিয়ে জল ছুড়ে শিকারকে ঘায়েল করে খায়। ফলে আর্চার মাছের জন্য ছোট ছোট পোকামাকড়, লার্ভা, শুকনো প্ল্যাঙ্কটন দিতে হবে।
৫। ছোট ছোট মাছেদেরও খেয়ে নেয় এই মাছ। এমনিতে শান্ত হলেও, বড় মাছের সঙ্গে রাখলে ঝঞ্ঝাট হতে পারে।
৬। ঠিকঠাক ভাবে রাখতে পারলে আর্চার মাছ ৫-৮ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।