বিড়ালের শরীরের জলের ঘাটতি হলে কী ভাবে বুঝবেন? ছবি:ফ্রিপিক।
গরম পড়তেই চিন্তা বেড়েছে নন্দিনীর। দুই মার্জারের ‘মনুষ্য মাতা’ তিনি। গত বছরেই তাদের এক জনের ভীষণ শরীর খারাপ হয়েছিল জল কম খাওয়ার জন্য। এ বছর তাই তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ চড়তেই সাবধান হয়েছেন তিনি।
পশুচিকিৎসকেরা সতর্ক করছেন, গরম পড়তে শুরু করলে পোষ্যকে জল বা জল জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়াতে হবে। জল কম খেলে যেমন মানুষের শরীরে জলশূন্যতা দেখা দেয়, তেমনটা হতে পারে বিড়ালেরও। শরীরে ইলক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হলে অর্থাৎ সোডিয়াম, পটাশিয়ামের স্বাভাবিক মাত্রার হেরফের হলে বিড়াল অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এমনিতে ২ কেজি ওজনের বিড়ালের জন্য ৪-৫ আউন্স জলের প্রয়োজন। সেই জল বিড়াল না খেলে বা তরল খাবার না খাওয়ানো হলে এমন সমস্যা হতে পারে।
কোন লক্ষণে জলশূন্যতা প্রকাশ পায়?
· দিনভর দৌরাত্ম্য করে বেড়ানো মার্জার যদি হঠাৎ করে ঝিমিয়ে পড়ে। এক সময় নিস্তেজ হয়ে যায়।
· মার্জারের আচরণে হঠাৎ কোনও বড় পরিবর্তন চোখে পড়লে।
· যদি চোখ কুঁচকে রাখে।
· যদি মাড়ি শুকিয়ে যায়।
তবে, গরম ছাড়াও বমি, আন্ত্রিক, জ্বর হলেও জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
কোন উপায়ে বিপদ এড়ানো যায়?
লক্ষ রাখা দরকার, পোষ্য দিনে ঠিকমতো জল খাচ্ছে কি না। বিড়াল এমনিতে খুব পরিচ্ছন্ন প্রাণী। কোনও একটি জায়গায় জল বসিয়ে রাখলেই সে খাবে, তা কিন্তু নয়। বিশেষত এক দিনের পুরনো জল, নোংরা পাত্রে রাখা জল সে খেতে চায় না। কখনও আবার নল থেকে জল পড়লে সেটাও সে খেতে পছন্দ করে। মার্জার কী ভাবে জল খেতে চায়, সে দিকে নজর দেওয়া দরকার। শরীরে জলাভাব মেটাতে কৌটোজাত তরল খাবার দেওয়া যেতে পারে। ঘরোয়া খাবারের ক্ষেত্রে ভাতের সঙ্গে মুরগির মাংস বা মাছের পাশাপাশি ব্রথ বা সেগুলি সেদ্ধ করা জল খাবারে মিশিয়ে দিতে পারেন।
তবে পশু চিকিৎসকেরা বলছেন, অসুস্থ হয়ে পড়লে বিড়ালকে জোর করে জল খাওয়ানো ঠিক নয়। বদলে বিড়ালের মুখে ড্রপারের সাহায্যে ফোঁটা ফোঁটা জল দেওয়া যেতে পারে।
চিকিৎসা
মার্জার যদি একেবারে নেতিয়ে পড়ে, তা হলে দেরি না করে দ্রুত পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার। কারণ, জলশূন্যতা কখনও কখনও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।