Concentration

Parenting: কোনও কাজে মন বসে না শিশুর? কী দেখে তা বুঝবেন

শিশু কি কোনও বিষয় নিয়েই এক টানা বেশি ক্ষণ থাকছে না? এই রকম সমস্যা হলে বুঝবেন তার মনোযোগের অভাব ঘটছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২১ ১৮:০৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

শিশুরা এখন অনলাইনেই ক্লাস করতে অভ্যস্ত। সুতরাং সহপাঠীদের সঙ্গে খেলা বা সময় কাটানো, কোনওটাই হচ্ছে না। বরং শিশুরা অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে মোবাইলে গেম খেলতে বা টিভিতে কার্টুন দেখতে। এটা নিঃসন্দেহে এক ধরনের সমস্যা কিন্তু তার চেয়েও বড় সমস্যা বাচ্চার কোনও কিছুই একটানা না করা। কিছু ক্ষণ হয়তো তার মোবাইল ভাল লাগছে, আবার কিছু ক্ষণ টিভি। খানিক পরেই অন্য কিছু করতে ইচ্ছে করছে। পড়াশোনাও একটানা করছে না। তার ফাঁকেই বারবার উঠে আসছে। এর মানে শিশু কোনও কিছুতেই মন বসাতে পারছে না। আসলে একটা বাচ্চা কোনও জিনিসে যত বেশি ক্ষণ মন দেবে, ততই সেই জিনিসটা শেখা তার পক্ষে সহজ হবে। পড়াশোনা কিংবা অন্য ধরনের কাজ সবেতেই এই মনঃসংযোগ খুব জরুরি। ফলে এমন সমস্যা হলে গুরুত্ব দিয়ে বুঝতে হবে।

কী থেকে এই সমস্যা হতে পারে?

Advertisement

বাচ্চার যদি ‘লার্নিং ডিজঅর্ডার’ থাকে, তা হলে সে কোনও বিষয়েই বেশি ক্ষণ মন দিতে পারবে না। এ ছাড়া, হাতের সামনে যদি এমন কোনও জিনিস পেয়ে যায়, যা তাকে বেশি আকর্ষণ করছে, তা হলেও মনোযোগের অভাব হতে পারে। বাবা-মায়েরা অনেক সময়েই বাচ্চাকে একসঙ্গে অনেক কিছু শেখাতে চান। তা থেকেও কিন্তু এই সমস্যা মাথাচাড়া দিতে পারে। কারণ, আপনি যে যে বিষয়গুলি ওকে শিখতে বলছেন, সেগুলির প্রতি ওর হয়তো কোনও আগ্রহই নেই।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কী দেখে বুঝবেন মনোযোগের অভাব আছে?

বয়স অনুযায়ী শিশুদের মনোযোগের ধরনও আলাদা। একজন দু’বছরের বাচ্চা কোনও বিষয়েই ৪-৬ মিনিটের বেশি মন দিতে পারে না। কারণ সে একেবারেই তখন শিশু। বয়স বাড়ার সঙ্গে একটু একটু করে মনোযোগের সময়টাও বাড়তে থাকে। বাচ্চার বয়স ৪ বছর হলে সে একটি বিষয়ে ৮-১২ মিনিট মনোযোগ দিতে পারে। ৮ বছর হলে মনোযোগের সময়টা হয়ে দাঁড়ায় ১৬-২৪ মিনিট। আবার ১৪ বছরের বাচ্চা কোনও বিষয়ে একটানা ২৮-৪২ মিনিট মন দিতে পারে। এই সময়ের কম হলেই বুঝবেন বাচ্চার মনোযোগের সমস্যা রয়েছে।

কী করবেন না?

মনোযোগের সমস্যা থাকলে বাচ্চাকে বকুনি দেবেন না। সমস্যা কমাতে বাচ্চার সঙ্গে আপনিও সেই বিষয়টি শেখার জন্য বসুন, এতে বাচ্চার আগ্রহ বাড়বে।

Advertisement
আরও পড়ুন