কিছু বিষয়ে এখনও খুবই সচেতন থাকতে হবে বলে উপদেশ দিচ্ছেন দেশ-বিদেশের চিকিৎসকেরা।
ফোন তুললেই শোনা যাচ্ছে আনলকের প্রক্রিয়া চালু হয়ে গিয়েছে। কোভিড আক্রান্তের সংখ্যাও হয়তো কিছুটা কমেছে। তবে খেয়াল রাখতে হবে সাবধানের মার নেই!
ধীরে ধীরে সামাজিক মোমেশা শুরু করলেও, কিছু বিষয়ে এখনও খুবই সচেতন থাকতে হবে বলে উপদেশ দিচ্ছেন দেশ-বিদেশের চিকিৎসকেরা। নিউ ইয়র্কের এক সংবাদমাধ্যমকে শিক্ষক-চিকিৎসক জুলিয়া মার্কাস জানান, ভাইরাস আবার দ্রুত গতিতে ছড়াতে থাকলে তখন কী ভাবে সামলানো যাবে, তা এখনও কেউ জানেন না। ফলে সামাজিক অনুষ্ঠানে নিজেদের মেলামেশার পরিধিটা এখনই না বাড়ানো ভাল।
অনন্ত কাল ঘরে বসে কাটানো সত্যিই সম্ভব নয়। যেমন এতে কাজের ক্ষতি, সঙ্গে সঙ্কটের মুখে পড়ছে মানসিক স্বাস্ব্যও। সে কারণেই ধীরে ধীরে নিজেদের পছন্দমতো ছোট্ট একটি গোষ্ঠী তৈরি করে মেলামেশা শুরু করেছেন অনেকেই। নিজেরাই তাকে নিজেদের ‘বাবল্’ বা বুদ্বুদ বলে থাকেন। খেয়াল রাখা ভাল, সেই বুদ্বুদে কোভিডের সঙ্কট খানিক কম থাকতে পারে, তবে নিরাময় হয় না। অর্থাৎ, প্রয়োজনে দেখাসাক্ষাৎ করলেও বিনা কারণে বেশি মানুষের সঙ্গে না দেখা করাই ভাল।
সঙ্গে আরও একটি বিষয়ের দিকে বেশি খেয়াল রাখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। তা হল, এই রোগ এড়িয়ে চলার নির্দিষ্ট কোনও প্রক্রিয়া নেই।
সকলকেই নিজের নিজের নিয়ম তৈরি করে নিতে হবে। তবে নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করার কোনও বিকল্প এখনও দেখা যায়নি। ফলে যে সব কাজ করতে গেলে মাস্ক ব্যবহার করা যায় না, তা না করাই ভাল। এখনও অন্তত আরও অনেক দিন এ ভাবেই সাবধানে চলতে হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।