নীতা অম্বানী। ছবি: সংগৃহীত।
তিনি ভারতের এক নম্বর ধনকুবেরের স্ত্রী। এই পরিচয় থেকেই তাঁর ব্যক্তিগত ধনসম্পত্তির পরিমাণ খানিকটা হলেও আন্দাজ করা যায়। কিন্তু নীতা অম্বানীর নিজস্ব কর্মজগতও আছে। নীতা ‘রিলায়ানেন্স ফাউন্ডেশন’-এর চেয়ারপার্সন এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স-এর মালকিনও। ফলে তাঁর ধনদৌলতের ‘খাজানা’ নিয়ে উৎসাহী মনের সংখ্যাও অগনিত। নীতার জীবনযাপন যে বিলাসিতায় মোড়া হবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকার কথা নয়। তবে শোনা যায়, নীতা নাকি মাঝেমাঝেই একেবারে ছাপোষা জীবনযাপনও করেন। নীতার বাহ্যিক সাজপোশাক, তাঁর অলঙ্কার অবশ্য সে কথা বলে না। এমনকি অনেকেই জানেন, রোজ সকালে নীতে যে কাপে চা খান, তার দাম ৩ লক্ষ টাকা। আর চা পানের পুরো সেটটার দাম প্রায় কয়েক কোটি।
নীতা যে শুধু বিলাসী নন, সঙ্গে শৌখিনও, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। নীতার সাজসজ্জা সে প্রমাণ বহন করে। তবে শুধু নিজেকে সাজানো নয়, ‘অ্যান্টিলিয়া’র অন্দরের সাজগোজের অনেকটা পরিকল্পনা নীতারও। এমনকি অম্বানী বাড়ির হেঁশেলের অনেক জিনিসপত্র নীতার পছন্দেই কেনা হয়েছে। জনশ্রুতি আছে, এক বার তো নীতা শ্রীলঙ্কায় বেড়াতে গিয়ে গোটা প্লেন ভর্তি করে শুধু হেঁশেলের বাসনপত্র কিনে এনেছিলেন। নিজের জেটপ্লেনে করেই শ্রীলঙ্কায় উড়ে গিয়েছিলেন নীতা। সেখানেই জাপানের ১০৬ বছরের পুরনো এক প্রসিদ্ধ সংস্থা থেকে প্রায় ২৫ হাজার বাসনপত্র কেনেন নীতা। এই সংস্থার প্রতিটি বাসনেই ২২ ক্যারেট সোনা আর প্ল্যাটিনাম বসানো। আর সেগুলিই নাকি অম্বানীদের হেঁশেল আলো করে থাকে।