Break Up

প্রেম ভাঙার পর থেকেই জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে? কোন দেশে থাকলে সরকারি সাহায্য পাবেন?

প্রেমে বিচ্ছেদ হলে সেই আঘাত সহজে ভোলা যায় না। বিশেষ করে কমবয়সিরা এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে অনেক সময় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। তাই কঠিন সময়ে তরুণ প্রজন্মের পাশে থাকার উদ্যোগ নিল কোন দেশের সরকার?

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
অকল্যান্ড শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৩ ১২:১১
Symbolic Image.

বিচ্ছেদের পাশে সরকার। প্রতীকী ছবি।

প্রেমের সম্পর্কে হঠাৎ বিচ্ছেদ হলে তা সামলে ওঠা কঠিন। আকস্মিক এই আঘাতে অনেকেই বিহ্বল হয়ে পড়েন। মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যস্ত হয়। প্রেম ভাঙার ব্যথা সামলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে অনেকেরই সময় লেগে যায়। কমবয়সিদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা তুলনায় বেশি দেখা যায়। সে কথা মাথায় রেখেই বিচ্ছেদ যন্ত্রণায় তরুণ প্রজন্মের পাশে দাঁড়াতে চলেছে নিউ জ়িল্যান্ড সরকার। এ দেশের সরকারের তরফে সম্প্রতি এমনই ঘোষণা করা হয়েছে।

বিচ্ছেদের পর অবসাদগ্রস্তদের পাশে ‘লভ বেটার’ নামে একটি প্রচারমূলক কর্মসূচির মাধ্যমেই সাহায্য করবে সরকার। মূলত ১৬-২৪ বছর বয়সিরা এই কর্মসূচির আওতায় পড়বেন। এই ধরনের অভিনব কর্মসূচির পরিকল্পনা করছেন নিউ জিল্যান্ড সরকারের মন্ত্রী প্রিয়ঙ্কা রাধাকৃষ্ণান। সম্প্রতি এর জন্য বাজেট ঘোষণা করেছে সরকার।

Advertisement

এই কর্মসূচির প্রথম উদ্দেশ্য হল দেশের তরুণ প্রজন্মকে বিচ্ছেদের হতাশা থেকে তুলে এনে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো। প্রেম ভাঙার পর ইমেল, ফোন কিংবা মেসেজ করে নিজেদের হতাশার কথা জানাতে পারেন তরুণরা। তাঁদের কথা শুনবেন এমন পরিস্থিতি পার করে এসেছেন এমন কয়েক জন অভিজ্ঞ ব্যক্তি। এ ছাড়াও এই পরিস্থিতিতে মনের জোর বাড়াতে সাহায্য করবে এমন কিছু প্রেরণাদায়ক ভিডিয়ো দেখার সুযোগ থাকবে। স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পথ মসৃণ করতে পারে এমন লেখাপড়ার এবং পডকাস্ট শোনারও ব্যবস্থা থাকছে।

২০২২ সালের নিউ জিল্যান্ডের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে চালানো একটি সমীক্ষা বলছে, ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সিদের মধ্যে প্রায় ৮৭ শতাংশ বিচ্ছেদের পর অবসাদের শিকার। অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছেন। সমীক্ষার এই রিপোর্ট পৌঁছয় সরকারের কাছে। তার পরেই তরুণ প্রজন্মের পাশে দাঁড়াতে এমন একটি উদ্যোগে নেয় সরকার।

আরও পড়ুন
Advertisement