অ্যালার্জি না অন্য কিছু? ছবি: সংগৃহীত।
শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যায়। ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। ত্বকে অস্বস্তি হয়। অনেকেরই গা চুলকোয়। বর্ষাকালে বাতাসে নানা রকম ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত হয়। তাই সেখান থেকে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা হতে পারে। আবার, গরমে শরীরের আনাচ-কানাচে অতিরিক্ত ঘাম জমলেও চুলকানির সমস্যা হতে পারে। এ সবই সাধারণ মানুষের ধারণা। সময়ে-অসময়ে চুলকানি কেন হয়, সে বিষয়ে স্পষ্ট দারণা নেই অনেকরেই। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, এই সমস্যার মূলে রয়েছে ‘স্টেফিলোকক্কাস অরেয়াস’ নামক একটি ব্যাক্টেরিয়াম। চিকিৎসা সংক্রান্ত জার্নাল ‘সেল’-এ তথ্যটি প্রকাশিত হয়েছে।
ভ্লাবাতনিক ইনস্টিটিউটের ইমিউনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আইজ্যাক চিউ বলছেন, “শুধু অ্যালার্জি হলেই যে ত্বকে অস্বস্তি হবে, এমনটা নয়। যাঁদের ত্বকে এটোপিক ডার্মাটাইটিস বা এগজ়িমার সমস্যা রয়েছে, তাঁদের শরীরে বিশেষ একটি ব্যাক্টেরিয়ার অস্তিত্ব দেখা যায়। দেহের কোষের মধ্যে থাকা সেই মাইক্রোব থেকে কী ভাবে চুলকানির সমস্যা হতে পারে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করাই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল।”
গবেষণায় অংশ নেওয়া বেশ কয়েকটি ইঁদুরের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছিল। গবেষকেরা বলছেন, ‘স্টেফিলোকক্কাস অরেয়াস’ নামক ব্যাক্টেরিয়াটি শরীরে ভি৮ প্রোটিনকে সক্রিয় করে তোলে। যা মস্তিষ্কে ক্রমাগত ত্বকের স্পর্শকাতরতা বিষয়ক সঙ্কেত পাঠাতে থাকে। রক্ত জমাট বাঁধতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই প্রোটিন। তাই ইঁদুরগুলিকে খাবারের সঙ্গে রক্ত পাতলা করার ওষুধ খাইয়ে বেশ কিছু দিন ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়। দেখা যায়, সেই ওষুধটি রীতিমতো কাজ করছে। মানুষের শরীরেও একই ভাবে কাজ করেছে।