জৈন সম্প্রদায়ের মানুষ প্রতি বছর আত্মশুদ্ধি, আত্মদর্শন এবং আধ্যাত্মিক বিকাশের জন্য পর্যুষণ পরব পালন করে।
স্মার্টফোন ছাড়া একটি গোটা দিন আমরা এখন কল্পনাও করতে পারি না! সকালে ঘুম থেকে উঠে দেশ-দুনিয়ার খবর থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় নেটদুনিয়ায় সারা দিন কী ঘটল, সব কিছু জানা যায় হাতের মুঠোয় এক ক্লিকেই। স্মার্টফোনের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তির কারণে আমরা যেন অজান্তেই সামাজিক ও পারিবারিক জীবন থেকে অনেকটা দূরে সরে আসছি, হালফিলের নানা সমীক্ষা অন্তত সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
ডিজিটাল আসক্তি কমানোর জন্য মধ্যপ্রদেশের রাইসেন জেলায় জৈন সম্প্রদায়ের কিছু সদস্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট এবং ইন্টারনেট থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখার জন্য ২৪ ঘণ্টার ‘ডিজিটাল উপোস’ পালন করলেন। জৈন সম্প্রদায়ের প্রায় ১০০০ জন সদস্য তাঁদের পর্যুষণ পরব চলাকালীন ভোপালের বেগমগঞ্জের একটি মন্দিরে ২৪ ঘণ্টার জন্য নিজেদের মোবাইল ফোন জমা রাখলেন।
जब बिना मोबाइल दिन चर्या की कल्पना कठिन हो ऐसे में पर्यूषण पर्व पर मोबाइल प्रयोग का त्याग कर ई-उपवास किया गया।
— Anamika Jain Amber (@anamikamber) September 7, 2022
उत्तम त्याग
- जैन समाज रायसेन MP pic.twitter.com/2qHLGxpKQ3
জৈন সম্প্রদায়ের মানুষ প্রতি বছর আত্মশুদ্ধি, আত্মদর্শন এবং আধ্যাত্মিক বিকাশের জন্য পর্যুষণ পরব পালন করেন। এই পরব চলাকালীন তাঁরা উপোস করে থাকেন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জৈন সম্প্রদায়ের নেতা অক্ষয় জৈন বলেন, “মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের প্রতি আসক্তি কমানোর জন্য ‘ডিজিটাল উপোস’ পালনের কথা ভাবা হয়েছে। এই উপোস চলাকালীন মানুষ তাঁদের ফোন বন্ধ করে মন্দিরে জমা রাখেন। প্রায় ১০০০ জন মানুষ এই উপোস পালন করেন।’’
অক্ষয় আরও বলেন, ‘‘পর্যুষণ পরব চলাকালীন আমাদের নিজেদের কোনও প্রিয় জিনিস ত্যাগ করতে হয়। এ বছর তাই আমরা স্থির করেছি ইন্টারনেট থেকেই নিজেদের দূরে রাখব। ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার— কোনও মাধ্যমেই যেন ইন্টারনেট ব্যবহার না করা হয় সে দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি। এই প্রকার উদ্যোগ আমরা ভবিষ্যতেও নিতে পারি। ’’