শুয়োরও পিছিয়ে নেই। ছবি: ইন্সটাগ্রাম।
পোষ্য হিসাবে মানুষের প্রথম পছন্দ কুকুর। অনেকেই আবার বিড়াল, পাখি, ইঁদুরকেও পোষ্য বলে মনে করেন। ব্যবসার কাজে লাগানোর জন্য অনেকেই শুয়োর পোষেন। কিন্তু শুধুমাত্র শখে শুয়োর পোষেন, এমন মানুষ সত্যিই বিরল।
২৫ বছর বয়সি মিনা আলালি গত বছর মার্চ মাসে একটি খামার থেকে ভিয়েতনাম প্রজাতির একটি বাচ্চা শুয়োর কিনে আনেন। মিনা বলেন, “মার্লিনকে নিয়ে আমি ঘুমোতে যাই। যখন তখন আদর করি। শুধু তা-ই নয়, ওকে আমি অনেক কিছু শিখিয়েছি, যা সাধারণ পোষ্যদের মধ্যে দেখা যায় না।”
সম্প্রতি মার্লিনের জন্য তার মালকিন বিশেষ একটি যন্ত্রও তৈরি করেছেন। যার সাহায্যে মিনার স্বরের সঙ্গে আলাদা করে পরিচয় তৈরি করানো হচ্ছে। যন্ত্রে থাকা বিভিন্ন বোতামে আলাদা আলাদা নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। যাতে চাপ দিলেই মার্লিন শুনতে পাবে তার মালকিনের গলা এবং সেখানে দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করবে। এ ছাড়াও মার্লিন বসতে পারে, গানের তালে তালে নাচতেও পারে। খিদে পেলে খাবার বা তেষ্টা পেলে জল চেয়ে খাওয়ার অভ্যাস অনেক দিন আগেই রপ্ত করে ফেলেছিল সে।
সমাজমাধ্যমে প্রভাবী মিনা তার পোষ্যের ছবি, আদুরে ভিডিয়ো পোস্ট করা মাত্রই তার অনুরাগীর সংখ্যা ছুঁয়েছে ১০ লক্ষ। মার্লিনের এমন বিরল প্রতিভা দেখে আপ্লুত বিভিন্ন দেশের পশুপ্রেমী সংগঠনও।