Viral Video

৮ কিংবা ১০ ঘণ্টা কাজের পরও নিস্তার নেই! অন্ধকার হলে ল্যাপটপ কোলে চলছে কাজ, রইল ভিডিয়ো

গণপরিবহণ কিংবা মাঠঘাট, রেস্তরাঁয় কিংবা বিয়ের মণ্ডপ— সর্বত্রই ল্যাপটপের অনধিকার প্রবেশ। অন্ধকার হলে বসে ল্যাপটপে কাজ করার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৪৪
Man seen working on laptop in a movie theater video went viral.

কাজই কি মুক্তির উপায়? ছবি: সংগৃহীত।

যে সংস্থাতেই কাজ করুন না কেন, প্রায় সব জায়গাতেই কম-বেশি ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা কাজ করতেই হয়। সারা সপ্তাহ হাড়ভাঙা পরিশ্রম করার পর, একটা দিন ছুটি থাকে। কোনও কোনও সংস্থা আবার দু’দিনও ছুটি দেয়। তার মধ্যেই বাড়ির যাবতীয় দায়দায়িত্ব সামলাতে হয়। তবে অফিসে যেতে না হলেও যখন-তখন ল্যাপটপ নিয়ে বসে পড়তে হতেই পারে। বর্তমান কর্মসংস্কৃতির ধারা এমনই। ‘শেষ হয়েও হইল না শেষ’ ব্যাপারটা খানিকটা সে রকমই। গণপরিবহণ কিংবা মাঠঘাট, রেস্তরাঁ কিংবা বিয়ের মণ্ডপ— সর্বত্রই ল্যাপটপের অনধিকার প্রবেশ। তেমনই একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সম্প্রতি। ঘটনা বেঙ্গালুরুর।

Advertisement

ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি সিনেমা দেখতে গিয়েও কোলে ল্যাপটপ নিয়ে বসে রয়েছেন। প্রেক্ষাগৃহ কানায় কানায় পূর্ণ না হলেও দর্শক রয়েছে। কাজ শেষে ক্লান্ত শরীরে যদি সিনেমা দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়েন, সেই ভয়েই অফিসে যাওয়ার আগে দিনের প্রথম শো দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও নিস্তার নেই! এত ভোরে, সিনেমা শুরু হওয়ার কিছু ক্ষণ আগেও তিনি কাজ করে গিয়েছেন ল্যাপটপে। আর সেই ভিডিয়োই ধরা পড়েছে পিছনে বসা অন্য এক দর্শকের ফোনের ক্যামেরায়।

অন্ধকার হলে ল্যাপটপের আলো জ্বলে উঠতেই আপত্তি করতে শুরু করেন সিনেমাপ্রেমীরা। রে রে করে ছুটে এসেছে নীতি পুলিশের দল। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ লিখেছেন, বেঙ্গালুরুতে অনেক পার্ক এবং উদ্যান রয়েছে, চাইলে সেখানে বসেও কাজ করা যায়। সিনেমা দেখতে এসে অন্যদের অসুবিধা করার তো প্রয়োজন নেই। অন্য এক সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আশা করি ইনফোসিসের জনক নারায়ণ মূর্তির কাছে এই খবর পৌঁছবে। তিনি এই ভিডিয়ো দেখলে খুব খুশি হবেন।”

Advertisement
আরও পড়ুন