মধুচন্দ্রিমায় কোথায় যাচ্ছেন তিনি? ছবি: সংগৃহীত
তিনিই সম্ভবত ভারতের প্রথম মহিলা যিনি ‘নিজগামিতা’ বা সোলোগ্যামির পথে হেঁটেছেন। কারণ আর কিছুই নয়, তিনি পৃথিবীতে সব থেকে ভালবাসেন নিজেকে। হয়তো অনেকেই বাসে! কিন্তু নিজেকে বিয়ে করার সাহস দেখিয়ে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন গুজরাত নিবাসী ক্ষমা বিন্দু। এ বার নিজের সঙ্গে মধুচন্দ্রিমাতেও যাচ্ছেন তিনি। গন্তব্য? গোয়া।
সংবাদমাধ্যমকে ক্ষমা জানিয়েছেন, আগামী ১০ আগস্ট তাঁর ২৫তম জন্মদিন। তাই মধুচন্দ্রিমা আর জন্মদিনের উদ্যাপন একসঙ্গে করতে চান। আর তার জন্য তিনি গন্তব্য হিসাবে বেছে নিয়েছেন গোয়ার আরাম্বল সমুদ্রসৈকত। জন্মদিনে গোয়ার সৈকতে বিকিনি পরে ঘুরবেন বলেও দাবি করেছেন ক্ষমা।
বরোদার মহারাজা সায়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিদ্যায় স্নাতক ক্ষমা পড়াশোনার পাশাপাশি মডেলিংও করেন। কিন্তু নিজেকে বিয়ে করার পথ খুব একটা সহজ ছিল না। পরিবার রাজি হলেও বেঁকে বসেন চারপাশের কিছু মানুষ। সংবাদমাধ্যমে তোপ দাগেন বিজেপ-নেত্রী সুনীতা শুক্ল। এই ধরনের বিয়ে হিন্দু ধর্মের বিরোধী এবং এই ধরনের বিয়ে চালু করলে হিন্দুদের জনসংখ্যা কমে যাবে বলে দাবি করেন বিজেপি-নেত্রী। ক্ষমা এর প্রত্যুত্তরে কিছু বলেননি। বরং বিয়ে দু’দিন এগিয়ে আনেন। ৮ জুন নিজেকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন ক্ষমা।
বিয়ের পরেও লড়াই শেষ হয়নি। বহু মানুষ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন, এই অজুহাতে প্রতিবেশীরা রোজই ঝামেলা করতে থাকায় নিজের আগের আবাসনটি তিনি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে খবর। এমনকি, বিয়ের পর তিনি চাকরি ছেড়েছেন বলেও জানিয়েছেন ক্ষমা। তবে এ সব নিয়ে এখন মাথা ঘামাতে নারাজ তিনি। বরং মধুচন্দ্রিমা থেকে ফিরে আইনি বিবাহের জন্য ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছে যাবেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন ক্ষমা।