Infant Mortality

কমেছে শিশুমৃত্যুর হার, বৈষম্য কমেছে কন্যা ও পুত্রসন্তানের মৃত্যুহারেও, বলছে জাতীয় সমীক্ষা

১৬টি রাজ্যে কন্যাসন্তানের মৃত্যুহার এখনও পুত্রসন্তানের তুলনায় বেশি হলেও জাতীয় গড়ে পুত্র ও কন্যা সন্তানের মৃত্যুহার কার্যত সমান, বলছে ২০২০ সালের ‘স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম’-এর সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২২ ১৫:০০
শিশুমৃত্যুর হারে কোথায় দাঁড়িয়ে বাংলা?

শিশুমৃত্যুর হারে কোথায় দাঁড়িয়ে বাংলা? প্রতীকী ছবি

সদ্যোজাত কন্যাসন্তানের মৃত্যুর হার প্রায় সমান সমান হয়ে এল পুত্রসন্তানের মৃত্যুহারের সঙ্গে, বলছে কেন্দ্রের ‘স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম’ বা ‘এসআরএস’-এর সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান। ১৬টি রাজ্যে কন্যাসন্তানের মৃত্যুহার এখনও পুত্রসন্তানের তুলনায় বেশি হলেও জাতীয় গড়ে পুত্র ও কন্যাসন্তানের মৃত্যুহার কার্যত সমান।

Advertisement

সাধারণত প্রতি এক হাজার শিশুর জন্মের এক বছরের মধ্যে যত জন মারা যায়, তাকেই ‘ইনফ্যান্ট মরটালিটি রেট’ বা শিশুমৃত্যুর হার বলা হয়। ২০২০ সালের তথ্য বলছে, দেশে প্রতি ১০০০টি সদ্যোজাত শিশুর মধ্যে মৃত্যু হয়েছ ২৮ জনের। ২০১৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩৯। ২০১৯ সালে ছিল ৩০। ২০১১ সালে তিনটি রাজ্য বাদে দেশের সবকটি রাজ্যেই কন্যাসন্তানের মৃত্যুহার ছিল পুত্রসন্তানের মৃত্যুহারের তুলনায় বেশি। বদল এসেছে সেই ছবিতেও। ২০২০ সালের তথ্য বলছে, ৫টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সমান সমান ছিল এই হার। ৮ টি রাজ্যে কন্যাসন্তানের মৃত্যুহার ছিল পুত্রসন্তানের তুলনায় কম।

কন্যাসন্তানের মৃত্যুহার পুত্রসন্তানের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ছত্তিসগড়ে। ছত্তীসগঢ়ে প্রতি ১০০০ জনে পুত্রসন্তানের মৃত্যুহার ৩৫। কন্যাসন্তানের মৃত্যু হার ৪১। জাতীয় গড়ের থেকে শিশুমৃত্যুর হার অনেকটাই কম পশ্চিমবঙ্গে। বাংলায় প্রতি ১০০০ জনে মৃত্যু হয়েছে ১৯ টি শিশুর। পুত্রসন্তান ও কন্যাসন্তান ভেদে এই সংখ্যা যথাক্রমে ২০ ও ১৮।

আরও পড়ুন
Advertisement