শুভমন গিল। ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্বকাপের মরসুমে আলাদা করে নজর কে়ড়েছেন শুভমন গিল। এটা তাঁর প্রথম বিশ্বকাপ। আর প্রথম বার বিশ্বকাপ খেলতে নেমেই খেল দেখাচ্ছেন বছর চব্বিশের ছিপছিপ চেহারা আর ঠান্ডা মাথার এই ক্রিকেটার। ডেঙ্গির জন্য বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচ খেলতে পারেননি শুভমন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাঁকে বা়ড়ি পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান ম্যাচের আগে বদলে গিয়েছিল ছবিটা। দ্রুত সুস্থ হয়ে আমদাবাদে পৌঁছে গিয়েছিলেন শুভমন। যোগ দিয়েছিলেন অনুশীলনে। সেই ম্যাচে কম রান করলেও ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরেছিলেন তিনি। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউ জ়িল্যান্ড— একের পর এক শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সামনে বুক চিতিয়ে খেলেছেন। শুভমানকে দেখে এক বারও মনে হয়নি ডেঙ্গির জন্য তাঁর ৪ কেজি ওজন কমে গিয়েছে।
ক্রিকেটারদের ফিট থাকাই দস্তুর। চোট পেলে কিংবা অন্য কোনও অসুস্থতা দেখা দিলেও দ্রুত সেরে উঠতেই হয় তাঁদের। শুভমনও সেই নিয়মের ব্যতিক্রম নন। শুভমনের পরিবর্তে প্রথম দু’টি ম্যাচে খেলেছিলেন ঈশান কিশন। অনেকেই চাইছিলেন দ্রুত সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরুক শুভমন। সকলের মনের ইচ্ছাপূরণ করে তিনি ফিরেছিলেন। একেবারে চাঙ্গা এবং চনমনে হয়ে। কী ভাবে এত দ্রুত চাঙ্গা হয়ে উঠলেন তিনি, তা নিয়ে তাঁকে বহু বার প্রশ্ন করা হয়েছে। শুভমন জানিয়েছেন, তাড়াতাড়ি ফিট হতে ডায়েটে জোর দিয়েছিলেন। কেমন ছিল শুভমনের ডায়েট?
মাখন মাখানো পরোটা খেতে সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন শুভমন। কিন্তু খেলার স্বার্থে সে সব ত্যাগ করেছেন। এমনিতে শুভমন অত্যন্ত স্বাস্থ্যসচেতন। সেটা তাঁর ছিপছিপে চেহারা দেখলেই বোঝা যায়। তবে ডেঙ্গি থেকে সুস্থ হওয়ার পর হাতে বিশেষ সময় ছিল না। দ্রুত মাঠে ফিরতে হত। তাই কড়া ডায়েট শুরু করেছিলেন।
শুভমনের সকালের খাবারে ছিল ডিম এবং মরসুমি সব্জি সেদ্ধ। ঘণ্টাখানেক পরে খেতেন এক বাটি ফল। দুপুরের খাবারে থাকত গ্লুটেনমুক্ত রুটি, ডাল এবং গ্রিলড চিকেন। সন্ধের মধ্যেই রাতের খাবার খেয়ে নিতেন তিনি। রাতের খাবারে থাকl গ্রিলড ফিশ, সব্জি এবং স্যুপ।