হৃতিক না ভিকি, কে বেশি পরিশ্রমী? ছবি: সংগৃহীত।
বলিপাড়ার ফিটনেস সচেতন হিরোদের তালিকায় জ্বলজ্বল করে দুটো নাম, হৃতিক রোশন এবং ভিকি কৌশল। ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ থেকেই হৃতিকের সুস্বাস্থ্যের পরিচয় পেয়েছেন দর্শক। অন্য দিকে, ভিকির পেশিবহুল ধারালো চেহারা অনেকেরই অনুপ্রেরণা। তবে দুই নায়কেরই এমন আকর্ষণীয় চেহারার কাণ্ডারী কিন্তু ফিটনেস প্রশিক্ষক ক্রিস গেথিন। হৃতিক এবং ভিকি, দু’জনেরই শরীরচর্চার প্রশিক্ষক তিনি। সম্প্রতি ক্রিস দু’জনেরই শরীরচর্চার রুটিন নিয়ে অকপট হয়েছেন। কাজ এবং শরীরচর্চা কী ভাবে একসঙ্গে সামলান দু’জনে, ক্রিস সে বিষয়েও মুখ খুলেছেন।
ভিকির ব্যাপারে বলতে গিয়ে ক্রিস জানিয়েছেন, ভিকি এমনিতেই খুব কম ঘুমোন। সারা দিনে ৪ ঘণ্টার বেশি তিনি ঘুমোন না। সারা ক্ষণই কিছু না কিছু কাজ করে চলেছেন। বাড়তি সময় নাকি একদমই নষ্ট করেন না ভিকি। সময় পেলেই জিমে চলে আসেন। কিংবা বাড়িতেই শরীরচর্চা করেন। ভিকি নাকি একেবারেই ‘না’ বলতে পারেন না। সে বিষয়ে বলতে গিয়ে ক্রিস বলেন, ‘‘পরিচালক যদি ভিকিকে ভোর ৪টের সময়ও কলটাইম দেন, তা হলেও ভিকি মুখে ফুটে না বলেন না। নির্দিষ্ট সময়েও সেটে হাজির হন। সারা দিন শুটিংয়ে অসম্ভব পরিশ্রম করে আবার ফিরে এসে শরীরচর্চা করেন। এক বারও বলেন না, ‘আজ থাক’। ভিকি এতটাই পরিশ্রমী।’’
আবার হৃতিক নাকি সহজে ক্লান্ত হয়ে পড়েন না। ২৪ ঘণ্টা না ঘুমিয়েও পরের দিন কাজ করতে কোনও বিরক্তি দেখান না তিনি। ৫০ বছর বয়সেও হৃতিকের এমন এনার্জি অবাক করে স্বয়ং ক্রিসকেও। তবে হৃতিক নাকি বেশি চোট পান। তবে চোট পেলেও খুব দ্রুত সেগুলি কাটিয়েও ওঠেন। ক্রিস বলেন, ‘‘চোট পেলেও শরীরচর্চা বন্ধ করেন না তিনি। সপ্তাহে ছ’দিনই কঠোর শরীরচর্চা করে হৃতিক। ভিকি কিন্তু সেখানে পাঁচ দিনের বেশি শরীরচর্চা করেন না। হৃতিকের যা বয়স, তা সত্ত্বেও সে সব পাত্তা না দিয়ে যে ভাবে ফিটনেসের চর্চা করেন, তা সত্যিই অভাবনীয়। যে কারও জন্য এটা অনুপ্রেরণার।’’