চিনে নিন সেরা ইলিশ। ছবি: সংগৃহীত।
শরৎ আসার আগে চলছে শেষবর্ষার মরসুম। ঘন কালো মেঘ— বৃষ্টি কাটলেই উঁকি দিচ্ছে সাদা মেঘের ভেলা। চারিদিকে পুজোর আমেজ। আর উৎসব, পালা-পার্বণ মানেই তো ভূরিভোজ। যা অনেকটা শুরু হয়ে যায় বিশ্বকর্মা পুজো থেকেই। কারণ, এ পার বাংলার অনেক বাড়িতেই এই দিন পালন করা হয় রান্নাপুজো বা অরন্ধন। এই অরন্ধন উৎসবের প্রধান একটি উপকরণ হল ইলিশ মাছ। কিন্তু বাজারে ভাল ইলিশ একটু দুর্লভ। ইলিশের নামে প্রায়শই না কি একই রকম দেখতে ভিনজাতের মাছ বাজারে আসছে। আসল ইলিশ ভেবে বেশি দাম দিয়ে অন্য মাছ নিয়ে গিয়ে খাওয়ার সময় রীতিমতো হাত কামড়াচ্ছেন অনেকে। রান্নার সময়ও তেমন গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে না। এত দাম দিয়ে যে মাছটি কিনেছেন, তা আদৌ ইলিশ তো? মনের মধ্যে এমন সন্দেহ উঁকি দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। বাজারে গিয়ে সাধারণত হাত দিয়ে মাছের কানকো তুলে তার টকটকে লাল রং দেখে কেনেন বেশির ভাগ ক্রেতা। কিন্তু কানকোর রং দেখেই শুধু আসল ইলিশে সিলমোহর দেওয়া যায় না। তাই বাজারে যাওয়ার আগে মাথায় রাখুন আসল ইলিশের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য।
১) ইলিশ মাছের রুপোলি রংই সাধারণত ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ভাল মানের ইলিশের গায়ে লালচে-গোলাপি আভা থাকে। অনেকেই মাছের গায়ে রং লাগিয়ে তেমন আভা আনতে চান। তাই কেনার আগে তা ভাল করে যাচাই করে নেবেন।
২) আসল ইলিশের পেট এবং পিঠ, দুই-ই বাঁকানো। সার্ডিন বা অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের সঙ্গে ইলিশের আকার মিলিয়ে দেখলেই ধরা পড়বে আসল, না নকল।
৩) ইলিশ মাছের মাথার দিক বেশ সূচালো এবং সরু। ঠিক কানকোর জায়গা থেকে তা আবার চওড়া হতে শুরু করে। সেই বৈশিষ্ট্য দেখে তবেই ইলিশ মাছ কিনবেন।
৪) ইলিশ মাছের চোখের ভিতরেও লালচে আভা থাকে। যা ইলিশের মতো অন্য কোনও সামুদ্রিক মাছের থাকে না। তাই মাছ কেনার আগে চোখ দু'টি ভাল করে খেয়াল করবেন।
৫) ইলিশ মাছের রুপোলি আঁশগুলিও খুব সূক্ষ্ম হয়। সার্ডিন বা অন্য মাছের ক্ষেত্রে আঁশগুলি তুলনায় বড় হয়।