শীতে গাছের যত্ন। ছবি: সংগৃহীত।
প্রতি বছর শীত পড়ার কিছু দিন আগে থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়। এ বছরও তাই করেছিলেন। শীতের সময়ে যাতে ফ্ল্যাটের এক চিলতে বারান্দা ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। কত যত্ন করে বাজার থেকে বেছে বেছে গাছের চারা কিনে, উপযুক্ত মাটি তৈরি করে, টব থেকে পুরনো মাটি ঢেলে, বেছে, রোদে শুকিয়ে, মাটিকে আবার উর্বরা করে, তবেই চারাগাছ পুঁতেছেন। দিন কয়েক ঝিমিয়ে থাকলেও তার পর বেশ সুন্দর মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। নতুন পাতাও ছড়িয়েছিল। কিন্তু হা হতস্বী! ফুল ধরবে কি, উত্তুরে হাওয়া বইতেই গাছের পাতা শুকিয়ে মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। কয়েকটি উপায় মেনে চললেই যত্নে বড় করা গাছ শীতের দাপটেও প্রাণ হারাবে না।
১) ঠান্ডা হাওয়া যেন না লাগে
গাছের গায়ে যেন ঠান্ডা হাওয়া না লাগে, তার জন্য পাতলা প্লাস্টিক বা ফাইবারের শিট দিয়ে বারান্দার ধার ঘিরে রাখতে পারেন।
২) গাছের শেকড় ঢেকে রাখুন
নতুন করে বারান্দা যদি ঘিরে ফেলতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে টবের মাটি মোটা কাপড়, খড়, বা নারকেল ছোবড়া জাতীয় জিনিস দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখতে পারেন। যা গাছের মাটি গরম রাখতে সাহায্য করে।
৩) গাছেদেরও ঠান্ডা লাগে
চারাগাছ কিংবা অঙ্কুরিত বীজ ঠান্ডায় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাদের সুরক্ষিত রাখতে উলের চাদর কিংবা পাটের বস্তার মোড়কের মধ্যে রাখতে পারেন। শীতে আর্দ্রতার অভাবে মাটি শুকিয়ে যায়। তাই মাটিতে জলের অভাব যেন না থাকে, সে দিকে লক্ষ রাখুন।
৪) একসঙ্গে রাখুন
খুব ঠান্ডা পড়লে যেমন ছোটরা একসঙ্গে জড়োসড়ো হয়ে থাকে, তেমন ভাবেই গা ঘেঁষাঘেষি করে রাখুন ছোট চারাগাছগুলি। তুলনায় বড় গাছগুলিকে সামনে রাখুন। যাতে চারাগাছ পর্যন্ত ঠান্ডা হাওয়া পৌঁছতে না পারে।
৫) ঘরের মধ্যে রাখুন
বেশ কিছু গাছ ঘরে-বাইরে দুই জায়গাতেই ভাল থাকতে পারে। তাই সুযোগ-সুবিধা বুঝে কখনও বাইরে, আবার কখনও ভিতরে রাখার চেষ্টা করুন।
৬) গাছে জল দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন
ঠান্ডায় বাতাসে আর্দ্রতার অভাব হয়। তাই মাটি শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায় বেশি। আবার শীতকালে রোদের তেজ বেশি থাকে না। তাই অনেক সময়ে মাটি ভিজেও থাকতে পারে। তাই সব দিক দেখে, বুঝে, তবেই গাছে জল দিন।
৭) শুকনো ডাল ছেঁটে দিন
গাছের ডাল, পাতা শুকিয়ে গেলে মনখারাপ করে লাভ নেই। তা ছেঁটে দিতেই হবে। তবেই সেখান থেকে আবার নতুন পাতা জন্মাবে।