সিরাম বানাতে পারেন বাড়িতেই। ছবি: সংগৃহীত।
শীতে চামড়ায় এত টান ধরছে যে স্নান করা মাত্রই মুখে ময়েশ্চারাইজ়ার না মাখলেই নয়। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্রিম মাখলেও তা বেশি ক্ষণ ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে না। এই কারণেই ক্রিম মাখার আগে সিরাম মাখার পরামর্শ দেন ত্বকের চিকিৎসকেরা। তবে ভাল মানের সিরামের দাম খুব কম নয়। তাই সকলের পক্ষে তা কেনা সম্ভব না-ও হতে পারে। বাড়িতে যদি কয়েকটি এসেনশিয়াল অয়েল থাকে, তা দিয়েই কিন্তু সিরাম বানিয়ে ফেলতে পারেন। তবে, তার আগে নিজের ত্বকে ঠিক কী সমস্যা রয়েছে, তা জেনে নিতে হবে।
১) অ্যান্টি-এজিং সিরাম
পরিমাণ মতো রোজ়হিপ, হোহোবা, ল্যাভেন্ডার এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল এক সঙ্গে মিশিয়ে নিন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মুখ ভাল করে পরিষ্কার করে মাখতে পারেন এই সিরাম। ত্বকের বয়সজনিত সমস্যাগুলি নিরাময় করতে সাহায্য করে এই সিরাম।
২) ব্রাইটেনিং সিরাম
ত্বকের জেল্লা এক দিনে বাড়িয়ে তোলা সম্ভব নয়। তবে নিয়মিত ব্রাইটেনিং সিরাম মাখলে এই ধরনের সমস্যা দূর হয়। এই সিরাম তৈরি করতে লাগবে লেমন, গ্রেপসিড এবং হোহোবা অয়েল। ত্বকের কালচে দাগ, ছোপ নির্মূল করতেও সাহায্য করে এই সিরাম।
৩) হাইড্রেটিং সিরাম
আর্গন, রোজ়হিপ, ল্যাভেন্ডার এবং জেরেনিয়াম অয়েলের মিশ্রণ অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকেও আর্দ্রতা এনে দিতে পারে। শুষ্ক ত্বকও স্পর্শকাতর হয়ে উঠতে পারে। সেই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই সিরাম।
৪) অ্যান্টি-অ্যাকনে সিরাম
তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের দাপট বাড়ে। শীতে মুখে নিম, চন্দনের প্যাক মাখা যাবে না। কারণ, চামড়া আরও বেশি চ়ড়চড় করবে। তাই গ্রেপসিড, হোহোবা, টি ট্রি এবং রোজ়মেরি অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
৫) নারিশিং সিরাম
ত্বকের খুব একটা সমস্যা নেই। শুধু সঠিক ভাবে পরিচর্যা করতে চান। তাঁরা ব্যবহার করতে পারেন এই নারিশিং সিরাম। তার জন্য রোজ়, স্যান্ডলউড এবং সুইট আমন্ড অয়েল মিশিয়ে নিন। সঙ্গে কয়েক ফোঁটা অ্যাভোকাডো অয়েল মিশিয়ে নিতে পারলে আরও ভাল হয়।