Parenting Tips

ফোন ছাড়া খুদে কিছুতেই খেতে চায় না? ওর অভ্যাসে বদল আনবেন কী করে?

ফোনের দিকে মনোযোগের কারণে শিশুরা ঠিক করে খাবার না চিবিয়েই গিলে ফেলে। এই কারণে খাদ্যের সঠিক পুষ্টিগুণ শিশুদের শরীরে যায় না। পেটের সমস্যাও হতে পারে। কী করলে কাটবে আসক্তি?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৪ ২০:২৫
খাওয়ার সময়ে শিশুর ফোনের আসক্তি কাটাবেন কী করে?

খাওয়ার সময়ে শিশুর ফোনের আসক্তি কাটাবেন কী করে? ছবি: শাটারস্টক।

শিশুদের খাওয়ার সময়েই যত রাজ্যের বায়না। মোবাইল হাতে না দিলে অনেক খুদেই কিছুতে খেতে চায় না। আর এক বার ফোন হাতে পেলে কার্টুন কিংবা গানের দিকেই থাকে তাদের মনোযোগ। খাবার শেষ করতে লেগে যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময়। ব্যস্ততার মাঝে অনেক মা-বাবাই শিশুর সামনে মোবাইল চালিয়ে নিজেদের টুকিটাকি কাজ সেরে ফেলেন। আর এ ভাবে অজান্তেই মোবাইল কিংবা টিভির নেশায় বুঁদ হয়ে পড়ে ছোটরা। মনে রাখবেন, এই নেশা দূর করতে ভবিষ্যতে আপনার কিন্তু কালঘাম ছুটতে পারে। কী ভাবে ওর স্ক্রিন টাইম কমাবেন, রইল হদিস।

Advertisement

১) অনেক বাড়িতে অভিভাবকরা নিজেরেই টিভির সামনে বসে খাওয়াদাওয়া করেন। শিশুরা তাদের অভিভাবকদেরই অনুসরণ করে। তাই প্রথমে নিজের মধ্যে বদল আনুন। খাওয়াদাওয়ার সময় টিভি বন্ধ রাখাই ভাল।

২) সোফায় কিংবা বিছানায় বসে নয়, খাওয়ার টেবিলে বসিয়ে শিশুদের খাওয়ানোর অভ্যাস করান। প্রয়োজনে প্রথম দিকে মন ভোলানোর জন্য ওদের গল্প শুনিয়ে খাওয়াতে পারেন।

৩) খাওয়ার সময়ে শিশু যেন টিভির কাছে না আসে, সে দিকে নজর রাখুন। প্রয়োজনে ওকে বলুন খাওয়াদাওয়া শে‌ষ করে নিলেই আপনি টিভি চালাবেন তবে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। সেই তাগিদেই শিশুরা চটজলদি খাবার শেষ করবে।

৪) খাবার শেষ করার একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিন। আপনিও এক টেবিলে সন্তানের সঙ্গে বসে খাবার খান। নির্দিষ্ট সময় খাবার শেষ করে উঠে পড়ুন। তবেই শিশুর মধ্যেও সময় মেপে খাওয়ার তাগিদ বাড়বে।

৫) খাওয়ার সময়ে শিশুদের টিভি চালিয়ে রাখার পরিবর্তে ওদের ছড়াগান শোনান। মজাদার গল্প শোনান। শিশুদের মন সে দিকে সহজেই মগ্ন থাকবে।

শুধু খাওয়ার সময়েই নয়, সারা দিনে টিভি দেখার সময় বেঁধে দিতে হবে। ওর অবসর সময়টা আঁকা, গল্পের বই পড়ার দিকে জোর দিন। এই ভাবে টিভি বা মোবাইলের প্রতি আসক্তি কমবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement